লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের ফেরাতে দেশটির সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। রবিবার লিবিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল ওয়াহেদ আবদুল সামাদের সঙ্গে বৈঠকে ত্রিপোলিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার এ সহযোগিতা চান। গতকাল ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সার্বিক কল্যাণ, বিশেষ করে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যেতে অভিবাসীদের পাসপোর্ট ও ট্রাভেল পারমিটে বহির্গমন ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, আইওএম ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশে ফিরতে আগ্রহী অনিয়মিত অভিবাসীরা বর্তমানে বহির্গমন ছাত্রপত্র প্রাপ্তিতে নানান জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুততর করার জন্য লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন। এ ছাড়া বৈঠকে রাষ্ট্রদূত লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত পরিদর্শনের সুযোগ এবং তাদের দেশে প্রেরণের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন। এ ছাড়া তিনি বর্তমান প্রেক্ষাপটে আবু সেলিমসহ বৃহত্তর ত্রিপোলিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা প্রত্যাশা করেন। জবাবে মহাপরিচালক জানান, স্বেচ্ছাপ্রত্যাবর্তন কর্মসূচির আওতায় অভিবাসীদের লজিস্টিক সমস্যা দূর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তিনি আইওএম, দূতাবাস এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্ট ও আউটপাস বহনকারী বাংলাদেশি অভিবাসীদের ‘খুরুজ’ প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে যে কোনো জটিলতা নিরসনে পারস্পরিক সমন্বয় অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হন। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।