বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, মিস আর্থ মেঘনা আলমকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বাসার দরজা ভেঙে গ্রেপ্তার এবং ১৯৭৪-এর বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশের ঘটনা ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের কথাই মনে করিয়ে দেয়। এমন ঘটনা সরকারের জন্যই লজ্জার। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। গতকাল গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, যেভাবে মেঘনাকে বাসা থেকে জবরদস্তিমূলক তুলে নিয়ে নিবর্তনমূলক কালো আইনে সাজা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে, তা মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন। ছাত্র শ্রমিক জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে এ ধরনের নিপীড়নমূলক ঘটনা কোনোভাবেই বরদাশত করা যাবে না। মেঘনা কোনো অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যূনতম সুযোগ না দিয়ে যেভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে তা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্যই লজ্জার কারণ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ’৭৪-এর বিশেষ ক্ষমতা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নাগরিকদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি সব কালাকানুন বাতিল করা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ দাবি। এসব কালাকানুন বাতিলের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য গড়ে উঠেছে। এখন দুই দশক পর একজন নারীর বিরুদ্ধে এ আইনের অপপ্রয়োগ কেন কীভাবে করা হলো তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দরকার। একজন বিদেশি নাগরিকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তড়িৎ গতিতে বিতর্কিত যে পদক্ষেপ নিয়েছে, দেশের নাগরিক মেঘনা আলমের অধিকার রক্ষায় সরকার তেমন কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। বিবৃতিতে তিনি অনতিবিলম্বে নিবর্তনমূলক বিশের ক্ষমতা আইনে অন্তরিন মেঘনা আলমের মুক্তি ও ‘৭৪-এর বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের দাবি জানান। একই সঙ্গে মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার ও হয়রানির সঙ্গে যুক্ত অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।