দুর্নীতির খোঁজে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ভবনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল অভিযান শুরু হয়। চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। দুদকের রাজশাহী সমন্বিত কার্যালয়ের উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন উন্নয়ন কান্ডের ফাইলসহ কাগজপত্র তল্লাশি করা হয়। বিশেষ করে সম্প্রতি দরপত্র ছাড়ায় রাসিক ভবন সংস্কার কীভাবে হচ্ছে সেটি অনুসন্ধানে নামে দুদক।
এ অভিযানে তিনটি ফাইল জব্দ করা হয়েছে। গতকাল রাজশাহী সিটি করপোরেশনে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইনের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুদকের সমন্বিত কার্যালয় রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মো. তানভীর আহমেদ সিদ্দীক ও উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান।
দুদকের সমন্বিত কার্যালয় রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, দরপত্র ও কোটেশন ছাড়াই সংস্কার কাজ হওয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিযানে তিনটি ফাইল জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঠিকাদার ইয়াহিয়া মিলুর একটি ফাইল আছে। যাচাইবাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিটি করপোশেন সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে নগর ভবন ও এর বাইরের সিটি করপোরেশনের স্থাপনাগুলোতে ২১ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক সিটি করপোরেশনের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান। ওই প্রকল্পের ভিতর উপপ্রকল্প করে নগর ভবন সংস্কারকাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে মন্ত্রণালয় তা নাকচ করে জানিয়ে দিয়েছে, সংস্কার করতে হবে নিজস্ব অর্থেই। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পর সম্প্রতি নগর ভবনের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান প্রকৌশলী আহমদ আল মঈন বলেন, সিটি করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার কাজগুলো করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ২০০৮ সালের পিপিআর মেনেই কাজ করছেন।