সিলেট বিআরটিএ অফিসে ৫০ কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেট। বুধবার বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সিলেট বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের রুম থেকে ৫টি ব্ল্যাঙ্ক চেক, ৩টি মোবাইল ফোন এবং একটি হকিস্টিক উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, হকিস্টিক দিয়ে বিভিন্ন সময় তিনি গ্রাহকদের মারধর করতেন ও ভয় দেখাতেন। এছাড়া রেকর্ড কিপার আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে একটি আবেদন ও গ্রাহকের ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মোটরযান পরিদর্শক।
দুদক সিলেট অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন জানান, বিআরটিএ দেশের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সংস্থাটির সেবার মান নিয়ে বহুদিন ধরেই নানা অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিলেট বিআরটিএ অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।
অভিযানে মোটরযান পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনর রুমে ৫টি ব্ল্যাঙ্ক চেক পাওয়া যায়। তার রুমের আলমারি থেকে ৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। যেগুলো অবৈধ কাজে তিনি ব্যবহার করতেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া রুম থেকে একটি হকিস্টিক উদ্ধার করেছে দুদক। এটি দিয়ে বিভিন্ন সময় মানুষকে অত্যাচার করতেন তিনি, এমন অভিযোগও দুদকের কাছে রয়েছে। জব্দকৃত মোবাইল ফোন সেট ৩টি যাচাই-বাছাই শেষে সিলেট বিআরটিএ অফিসের পরিচালকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রেকর্ড কিপার আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে একটি আবেদনের সাথে লাগানো গ্রাহকের ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
তবে এসব অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মোটরযান পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, জব্দ করা মোবাইল ফোন বিভিন্ন অভিযানে জব্দ করা দাললদের। তার রুম থেকে উদ্ধার হওয়া হকিস্টিকটিও তার না। এছাড়া ঘুষ বাণিজ্যের যে অভিযোগে উঠেছে, সেগুলোর সাথে তিনি জড়িত না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই