ঈদের বন্ধের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলো খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বিসিএস পরীক্ষাসহ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এগিয়ে থাকতে এমন দাবি তুলেছেন তারা।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাশাসন ভবন চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতি ঈদে দীর্ঘদিন হল বন্ধ রাখা হয়। এতে আমাদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়। সামনে বিসিএস পরীক্ষা, আবার যাদের ঈদের পরে পরীক্ষা তারাও ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এভাবে একজন শিক্ষার্থীর ক্ষতি করতে পারেন না। এতদিন হল বন্ধ রাখা যুক্তিযুক্ত না।
তারা আরও বলেন, আমাদের মধ্যে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও আছে। অনেকের পরিবার নাই তাদের একমাত্র আশ্রয় হচ্ছে হলগুলো। বর্তমান প্রশাসনের কাছে আমরা আশা করেছিলাম যে হয়তো হলগুলো খোলা রাখবে, ইতিবাচক পরিবর্তন হবে কিন্তু আমরা হতাশ। প্রশাসনের উচিত ছাত্রদের কথা চিন্তা করে হল খোল রাখা। তারা কোনো ইস্যু হলেই হলগুলো বন্ধ রাখে। ঢাবিতে হল খোলা থাকলে আমাদের কেন বন্ধ? জুলাই বিপ্লবের পরেও যদি নৈতিক দাবির জন্য মানববন্ধন করতে হয়, এটা আমাদের জন্য লজ্জার।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি প্রদানের জন্য উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। তবে এসময় উপাচার্য না থাকায় তারা স্মারকলিপি নিয়ে কোষাধ্যক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের দাবি তুলে ধরেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তোমরা যারা হলে থাকতে চাও তারা তোমাদের হলের প্রভোস্টকে তোমাদের চাহিদার কথা জানাও। তারা প্রভোস্ট কাউন্সিলকে জানাবে এবং প্রভোস্ট কাউন্সিল আমাদের সাথে বসবে। হল খোলা রাখার বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিল পজিটিভ হলে আমরাও পজিটিভ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘হল খোলা রাখা বা না রাখা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে। যেটাই সিদ্ধান্ত নিক আমরা সার্বিক নিরাপত্তা দেবো।’
এ বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, ‘হল খোলা রাখার বিষয়ে আমরা পজিটিভ। ছুটিতে যারা হলে থাকতে চায় তাদের লিখিতভাবে স্ব স্ব হল প্রভোস্টের কাছে আবেদন দিতে বলেছি। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শিক্ষার্থী যদি থাকতে চায় তাহলে আমরা হল খোলা রাখবো।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই