৩ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ‘লং মার্চ’ কর্মসূচিতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনে যোগ দিতে আসছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভিসি-প্রক্টরসহ অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্ররা।
বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে এসে কাকরাইলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দেন তারা।
এসময় শিক্ষকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে আন্দোলন বন্ধ করবে না তারা। সেই সাথে ন্যক্কারজনক এই হামলার অনুমতি দেওয়া ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার এসির বিচারের দাবি জানান তারা।
প্রসঙ্গত, এদিন বেলা ১১টায় পূর্বঘোষিত লং মার্চ টু যমুনা কর্মসূচিতে ক্যাম্পাস থেকে বের হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১২ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের বাধা পেয়ে যমুনার সামনে না যেতে পেরে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে শুরু হয় বৃষ্টি ও বজ্রপাত। তবে সেই বজ্রপাত উপেক্ষা করেই দাবি আদায়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দেন জবির ভিসি-প্রক্টরসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং সব প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়ার তিন দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে লং মার্চ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি হলো;
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত