শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২৫ আপডেট: ০১:৩১, বুধবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২৫

শতবর্ষি যুদ্ধ

প্রিন্ট ভার্সন
শতবর্ষি যুদ্ধ

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংঘাত বিশ্বের দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে সহিংস বিরোধগুলোর অন্যতম। যার উৎস এক শতাব্দীরও বেশি পুরোনো। ভূমি, সীমান্ত ও অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঐতিহাসিক বিরোধের পরিণতি এখনো ধ্বংসলীলা ডেকে আনছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ  গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ। লিখেছেন- আবদুল কাদের

 

অলৌকিক ঘটনা

যেভাবে সংঘাতের সূচনা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্যের পরাজয়ের পর ব্রিটেন ফিলিস্তিন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সেখানে আরব সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং ইহুদি সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা বসবাস করত। কিন্তু ইহুদি ও আরবদের মধ্যে উত্তেজনা আরও গভীর হয় যখন যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য একটি জাতীয় আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার  ঘোষণা দেয়। যা বেলফোর নামে পরিচিত। ইহুদিদের দাবি, এই ভূমির সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে কিন্তু ফিলিস্তিনিরা শতাব্দীর পুরনো দাবি এবং ব্রিটিশদের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। যদিও ব্রিটিশরা সে সময় বলেছিল যে, সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনি আরবদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। ১৯২০ থেকে ১৯৪০ এর দশকে হলোকাস্ট-এর ফলে ফিলিস্তিনে আগত ইহুদির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। যাদের অনেকে ইউরোপে নিপীড়নের শিকার হয়ে সেখান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। জার্মানির স্বৈরশাসক হিটলারের হলোকাস্ট-এ ষাট লাখ ইহুদির হত্যাকাণ্ড একটি নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়ে তোলে। ১৯৪৭ সাল নাগাদ ইহুদি জনসংখ্যা ৬ লাখ ৩০ হাজারে পৌঁছেছিল, যা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের সামান্য বেশি ছিল। ১৯৪৭ সালে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের (ইউএন) ভোটে ফিলিস্তিনকে পৃথক ইহুদি ও আরব রাষ্ট্রে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর জেরুজালেম হবে আন্তর্জাতিক শহর। কোনো আরব রাষ্ট্রই এর সমর্থন করেনি। তাদের যুক্তি, এই পরিকল্পনা ইহুদিদের বেশি জমি দিয়েছে, যদিও তারা জনসংখ্যায় ছিল কম। ব্রিটেন ভোটদানে বিরত থাকে এবং ১৯৪৮ সালের শেষে নিজেদের প্রত্যাহার করে সমস্যাটি জাতিসংঘের হাতে তুলে দেয়। ব্রিটিশ শাসনের অবসানের কয়েক ঘণ্টা আগে ইহুদি নেতারা ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। পরের বছর জাতিসংঘ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়।

১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ কী?

ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণার পরের দিন পাঁচটি আরব রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইসরায়েলকে আক্রমণ করে এবং ঘিরে ফেলে। যা ইসরায়েলিদের মাঝে তাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৪৯ সালে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে যখন লড়াই শেষ হয়, তত দিনে ইসরায়েল বেশির ভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। আর চুক্তির ফলে মিসর গাজা উপত্যকা, জর্ডান পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েল পশ্চিম জেরুজালেম দখল করে রাখে। প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি নিজ বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয় এবং সে ভূমি ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত হয়। এটি আরবিতে নাকবা (মহাবিপর্যয়) নামে পরিচিত। পরের বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো থেকে শত শত হাজার ইহুদি ইসরায়েলে চলে আসে।

 

প্রায় ২০০০ বছরের নির্বাসনের পর ইহুদিরা ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ধর্মীয় ইহুদি অধিবাসীরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে, এই জেরুজালেম তাদের পবিত্র স্থান এবং ঈশ্বরের দান করা একটি অলৌকিক ঘটনা, যা ত্যাগ করা যাবে না...

 

১৯৬৭ সালের সেই মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ

ছয় দিনের যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের সীমানা বদলে দেয়। ফিলিস্তিনিদের করুণ পরিণতি ডেকে আনে। এই যুদ্ধে ইসরায়েল মিসর, সিরিয়া ও জর্ডানের বিরুদ্ধে লড়াই করে। মিসর ও সিরিয়ার সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েল মিসরের বিমান বাহিনীর ওপর হামলা চালায়, যুদ্ধ শুরু হয়। যা শেষ হওয়ার আগেই ইসরায়েল মিসরের সিনাই উপদ্বীপ ও গাজা, সিরিয়ার বেশির ভাগ গোলান মালভূমি এবং জর্ডানের পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীর দখল করে নেয়। পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যা আজও অব্যাহত। ১৯৭৯ সালে ইসরায়েল  মিসরের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং সিনাই উপদ্বীপ ফিরিয়ে দেয়।

 

পশ্চিম তীরের অবস্থা

পশ্চিম তীর- ইসরায়েল ও জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী ভূমি; যা ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির আবাসস্থল। ফিলিস্তিনিরা সর্বদা এ অঞ্চলে ইসরায়েলের উপস্থিতির বিরোধিতা করেছে এবং তারা চায় এই এলাকাগুলো ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্রের অংশ হোক, যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন রয়েছে। তবে ইসরায়েল এখনো পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (ফিলিস্তিনি সরকার) এর বেশির ভাগ শহর ও নগর পরিচালনা করে আসছে। পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ৭ লাখ ইহুদিকে ধারণকারী ১৫০টি ইসরায়েলি বসতি রয়েছে। ফিলিস্তিনিরা চায় তাদের বসতি সরিয়ে ফেলা হোক এবং যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। তবে ইসরায়েলের সরকার এর বিরোধিতা করে। তারা জানায়, অন্ততপক্ষে বৃহত্তম বসতিগুলো স্থায়ী এবং সমস্ত বসতিতে তাদের ঐতিহাসিক অধিকার রয়েছে। তারা ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় না এবং যুক্তি দেয় যে, পশ্চিম তীর ইসরায়েলি মাতৃভূমির অংশ। ইসরায়েলি সরকার ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর বসতি সম্প্রসারণ বৃদ্ধি করে। তারা জানায়, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বলেছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অব্যাহত উপস্থিতি অবৈধ এবং ইসরায়েলের উচিত সব বসতি স্থাপনকারীকে প্রত্যাহার করা।

 

জেরুজালেম নিয়ে বিরোধ

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ই জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং পরে পুরো শহরটিকে তার স্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করে। তারা জানায়, জেরুজালেমকে বিভক্ত করা যাবে না। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবি করে। জেরুজালেমের পবিত্র স্থান ফিলিস্তিন-ইসরায়েলি সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু। সবচেয়ে পবিত্র স্থান- যা মুসলমানদের কাছে আল আকসা মসজিদ বা হারাম আল-শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত সেটি এই পূর্ব জেরুজালেমেই অবস্থিত। জাতিসংঘ ও বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক মতামত পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েল কর্তৃক অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূমি হিসেবে বিবেচনা করে।

 

গাজা উপত্যকার পরিণতি

গাজা উপত্যকা ইসরায়েল, মিসর ও ভূমধ্যসাগর দ্বারা বেষ্টিত একটি ভূখণ্ড। এটি ৪১ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দীর্ঘ এবং ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত। প্রায় ২৩ লাখ মানুষের আবাসস্থল, যা পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানগুলোর একটি। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধের আগেও গাজার বেকারত্বের হার ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ। অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে এবং বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যসহায়তার ওপর নির্ভরশীল। ১৯৪৮ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের ফলে গাজার সীমানা নির্ধারিত হয়। তখন এটি মিসরের অধীনে ছিল। মিসর ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের শেষে গাজা থেকে বিতাড়িত হয় এবং এর নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ, যারা সেখানে বসতি স্থাপন করে এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে সামরিক শাসনের অধীনে রাখে। ২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজা থেকে তাদের সৈন্য ও বসতি প্রত্যাহার করে নেয় যদিও তারা এর সীমান্ত, আকাশসীমা ও উপকূলরেখার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে। জাতিসংঘ এখনো গাজাকে ইসরায়েল-অধিকৃত ভূখণ্ড হিসেবে গণ্য করে। হামাস ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করে এবং পরের বছর তীব্র লড়াইয়ের পর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভূখণ্ড থেকে তাড়িয়ে দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ও মিসর অবরোধ আরোপ করে। পরের বছরগুলোতে হামাস ও ইসরায়েল বেশ কয়েকটি বড় সংঘাতে লিপ্ত হয়- যার মধ্যে ২০০৮-০৯, ২০১২ ও ২০১৪ সালের সংঘাত উল্লেখযোগ্য। মে ২০২১ সালে দুইপক্ষের মধ্যে একটি বড় সংঘাত ১১ দিন পর যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়। প্রতিটি দফায় উভয় পক্ষের মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে গাজার ফিলিস্তিনিদের সংখ্যাই বেশি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা গাজা থেকে একটি আক্রমণ শুরু করে। তারা ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫০ জনের বেশি জিম্মি করে। ফলে গাজায় একটি বিশাল ইসরায়েলি সামরিক অভিযান শুরু হয়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর তথ্য অনুসারে, গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ, হামলা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মতো ঘটনা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাদের অস্ত্র ব্যবহার করে নৃশংসতা চালিয়েছে তার সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং অন্যান্য পশ্চিমা সরকার তাদেরকে অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে; যা আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা এবং দেশীয় আইনের লঙ্ঘন। যুদ্ধক্ষেত্রে নজরদারি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার বেসামরিক ক্ষতি আরও বাড়িয়ে তোলে।

গাজাবাসীর মানবেতর জীবন

মানবিক সংকট

গাজাবাসীর মানবেতর জীবন

গাজার জনগণ আজ চরম মানবিক সংকটের মুখোমুখি। ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতায় প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ আজ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ১০ লাখেরও বেশি মানুষ হয়েছে গৃহহীন। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে; পুরো জনসংখ্যা তীব্র খাদ্যসংকট ও অপুষ্টির শিকার। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, গাজার খাদ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে এবং দুর্ভিক্ষের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে), ইসরায়েল গণহত্যার অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষার জন্য তাদের মানবিক পদক্ষেপ-এর কথা উল্লেখ করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। তবে বাস্তবচিত্র সম্পর্কে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ থেকে বঞ্চিত করেছে, যা গুরুতর- মানবতাবিরোধী অপরাধ।

‘গাজা’ যেন ধ্বংসস্তূপের নগরী

অবকাঠামোগত ধ্বংস

গাজা যেন ধ্বংসস্তূপের নগরী

গাজা উপত্যকার অবকাঠামো প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসপ্রাপ্ত। বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের একটি যৌথ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অক্টোবর ২০২৩ থেকে জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত গাজার অবকাঠামোর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার; যা পশ্চিম তীর ও গাজার সম্মিলিত জিডিপির ৯৭ শতাংশের সমান। এই ক্ষতির মধ্যে ৭২ শতাংশই আবাসিক ভবনের ধ্বংস এবং ১৯ শতাংশ জনসেবা অবকাঠামো যেমন পানি, স্বাস্থ্য, ও শিক্ষা খাতের ক্ষতি। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই ধ্বংসের ফলে প্রায় ২৬ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি হয়েছে; যা অপসারণে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর তথ্যমতে, ইসরায়েলি সৈন্যরা হাসপাতাল, আবাসিক ভবন এমনকি ত্রাণকর্মীদেরও লক্ষ্যবস্তু করেছে। বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেওয়া স্কুল ও শিবিরগুলোকেও ধ্বংস করেছে। ফলে কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই।

 

স্কুল-হাসপাতালে হামলা

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে পতন

গাজায় হাসপাতালগুলো কেবল গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা অবকাঠামো হিসেবে নয়; বরং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের আশ্রয়স্থল হিসেবেও ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর ভারী অস্ত্র ব্যবহারের ফলে হাসপাতালের অবকাঠামোগুলো আজ শুধুই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমনকি অগ্রসরমান স্থল অভিযানের আওতায় আসা এলাকার সব হাসপাতাল তাদের পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। যার মধ্যে আল-মাওয়াসির আল-খায়ের হাসপাতালও রয়েছে; যা কোনো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশের আওতায় ছিল না। যার কারণে গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসপ্রাপ্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৬৫৪টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে এবং ১ হাজার ৫০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১৭টি আংশিকভাবে কার্যকর রয়েছে এবং সেগুলোও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও ওষুধের অভাবে সেবা দিতে অক্ষম। এ ছাড়া জাতিসংঘ কর্তৃক গত বছরের ২ মার্চ ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, অক্টোবর মাস থেকে ৩১৮টি বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে। সম্প্রতি ধারণকৃত স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ এবং মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্তত ২৮৭টি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে এবং তন্মধ্যে ৩৯টি রাফাহ পৌরসভার তথাকথিত নিরাপদ অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। স্কুলগুলোর ওপর হামলা ও ধ্বংসের ফলে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক ব্যক্তিরা আরও বেশি বাস্তচ্যুত হয়েছে।

ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা

ইয়াসির আরাফাত

ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা

ইয়াসির আরাফাত, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম এক আইকনিক ব্যক্তিত্ব। যিনি ফিলিস্তিনি জনসাধারণের অবিসংবাদিত নেতা এবং ফিলিস্তিন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মূল নায়ক। যার নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই ভেসে ওঠে ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘ সংগ্রাম, যুদ্ধ, আশা ও বিতর্কের এক জটিল ইতিহাস। প্রবীণ এই নেতা ছিলেন প্রতিরোধের প্রতীক, ফিলিস্তিনি সংগ্রামে তার ভূমিকা অনেক বেশি।

মহান এই নেতা ১৯২৯ সালে অপেক্ষাকৃত সচ্ছল ব্যবসায়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁকে মুহাম্মদ নাম দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে তাঁর ডাকনাম ইয়াসিরের কাছে ম্লান হয়ে যায়। তিনি সর্বদা দাবি করতেন, তিনি জেরুজালেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বেশ কয়েকজন তদন্তকারী এই দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাদের ভাষ্য, তিনি কায়রো বা গাজা উপত্যকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিশোর বয়সে আরাফাত ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধকারী ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সাহায্যে কাজ করেন এবং তথ্যপ্রমাণ রয়েছে যে, ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে যোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র চোরাচালানে সাহায্য করেছিলেন। অনেক উচ্চাকাক্সক্ষী ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর মতো তিনিও অবশেষে পড়াশোনা শেষ করার জন্য মিসরে যান। কায়রোর কিং ফুয়াদ প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তরুণ আরাফাত ফিলিস্তিনি গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন; যা ছিল সুয়েজ সংকটে ব্রিটিশ, ফরাসি এবং ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মিসরীয় ফ্রন্টে স্বেচ্ছাসেবক সরবরাহকারী একটি দল। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির পর তিনি কুয়েতে চাকরি খোঁজেন। কিন্তু তরুণ এই বিপ্লবী চাকরির চেয়ে অনেক বেশি কিছুতে আগ্রহী ছিলেন। কুয়েতে তিনি ফাতাহ আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন; যা পরে ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার বৃহত্তম এবং জনপ্রিয় দল হিসেবে কাজ করে। তিনি ১৯৬৯ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (PLO) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এই পদে বসেই তিনি বিশ্ববাসীর সামনে ফিলিস্তিনকে তুলে ধরেন। ১৯৭৪ সালে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন। তবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় মাইলফলক আসে ১৯৯৩ সালে; যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিনের সঙ্গে অসলো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। যা ইসরায়েল এবং PLO পরস্পরকে স্বীকৃতি দেয়। ২০০০ সালে দ্বিতীয় ইনতিফাদা (গণবিদ্রোহ) শুরু হলে আবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইসরায়েল তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ এনে রামাল্লায় বন্দি করে রাখে। ২০০৪ সালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসার জন্য ফ্রান্সে যান। সেখানেই ১১ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ

গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। গেল ৭ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা শিরোনামে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে; যেখানে মানুষ গাজার জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছেন এবং ইসরায়েলি অভিযানের নিন্দা জানাচ্ছেন

যুক্তরাষ্ট্র : গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা- এই স্লোগানকে সামনে রেখে সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে হাজার হাজার মানুষ হোয়াইট হাউসের সামনে সমবেত হয়ে গাজার জনগণের প্রতি সমর্থন জানায় এবং মার্কিন সরকারের ইসরায়েল নীতির প্রতিবাদ করে। বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবি করে।

যুক্তরাজ্য : গাজার গণহত্যার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের লন্ডনেও হাজার হাজার মানুষ পার্লামেন্ট স্কয়ারে সমবেত হয় এবং ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানায় এবং ব্রিটিশ সরকারের কাছে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। পাশাপাশি আগত বিক্ষোভকারীরা গাজার জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এবং যুদ্ধবিরতির দাবি করে।

ফ্রান্স : প্যারিসে রিপাবলিক স্কয়ারে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়ে গাজার পরিস্থিতির প্রতিবাদ করে এবং ফরাসি সরকারের কাছে ইসরায়েলের প্রতি অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানায়। বিক্ষোভকারীরা গাজার জনগণের প্রতি সমর্থন জানায় এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি করে।

জার্মানি : বার্লিনে ব্রান্ডেনবার্গ গেটের সামনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে; যেখানে তারা গাজার জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এবং জার্মান সরকারের কাছে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানাতে আহ্বান জানায়। বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরতির দাবি করে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।

বাংলাদেশ : ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা গাজার জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর
বর্ষবরণে যত আয়োজন
বর্ষবরণে যত আয়োজন
বাঙালির আনন্দ শোভাযাত্রা
বাঙালির আনন্দ শোভাযাত্রা
বাংলা সনের জনক সম্রাট আকবর
বাংলা সনের জনক সম্রাট আকবর
পয়লা বৈশাখ প্রকৃত গণতন্ত্র চায়
পয়লা বৈশাখ প্রকৃত গণতন্ত্র চায়
সমুদ্রতলে অজানা রহস্য
সমুদ্রতলে অজানা রহস্য
বিশ্বখ্যাত যত মসজিদের শহর
বিশ্বখ্যাত যত মসজিদের শহর
মহাকাশ যাত্রার অবিস্মরণীয় গল্প
মহাকাশ যাত্রার অবিস্মরণীয় গল্প
দেশে দেশে রমজানে মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতা
দেশে দেশে রমজানে মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতা
দেশে দেশে রমজান
দেশে দেশে রমজান
দেশে দেশে বইমেলা
দেশে দেশে বইমেলা
বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী আল বিরুনি
বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী আল বিরুনি
হারিয়ে যাওয়া এয়ারলাইনস
হারিয়ে যাওয়া এয়ারলাইনস
সর্বশেষ খবর
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বিছানার নিচে লুকিয়ে ভয়ঙ্কর বিষ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুর মস্তিষ্ক
বিছানার নিচে লুকিয়ে ভয়ঙ্কর বিষ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুর মস্তিষ্ক

৪৭ মিনিট আগে | জীবন ধারা

করিমগঞ্জে বিদ্যালয় মাঠের মাটি ভরাট কাজের উদ্বোধন
করিমগঞ্জে বিদ্যালয় মাঠের মাটি ভরাট কাজের উদ্বোধন

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় পুলিশের ওপর হামলায় আহত ২
বগুড়ায় পুলিশের ওপর হামলায় আহত ২

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের নির্দিষ্ট ডেটলাইন দেননি: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের নির্দিষ্ট ডেটলাইন দেননি: মির্জা ফখরুল

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ক্যানবেরায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত
ক্যানবেরায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

স্ত্রীসহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়ি চালক মালেকের কারাদণ্ড
স্ত্রীসহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়ি চালক মালেকের কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার
গোপালগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সংসারের খরচ মেটাতে চিন্তিত জেলেরা
সংসারের খরচ মেটাতে চিন্তিত জেলেরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইস্টারে পোপের উপস্থিতি ঘিরে ক্যাথলিক বিশ্বাসীদের মধ্যে উদ্বেগ
ইস্টারে পোপের উপস্থিতি ঘিরে ক্যাথলিক বিশ্বাসীদের মধ্যে উদ্বেগ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাডুডু খেলায় মাতলো দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা
হাডুডু খেলায় মাতলো দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অচিরেই বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় বাস্তবায়ন হবে : প্রধান বিচারপতি
অচিরেই বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় বাস্তবায়ন হবে : প্রধান বিচারপতি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাস্তি পেলেন এমবাপ্পে
শাস্তি পেলেন এমবাপ্পে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রশিদের সঙ্গে রিশাদের তুলনা করলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার
রশিদের সঙ্গে রিশাদের তুলনা করলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আর্সেনালের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে এমবাপ্পের দিকে তাকিয়ে আনচেলত্তি
আর্সেনালের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে এমবাপ্পের দিকে তাকিয়ে আনচেলত্তি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গণঅধিকার পরিষদ ছাড়লেন ফাতিমা তাসনিম, তবে রাজনীতি না
গণঅধিকার পরিষদ ছাড়লেন ফাতিমা তাসনিম, তবে রাজনীতি না

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোহাম্মদপুরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ৫
মোহাম্মদপুরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ৫

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রতিদিন কলা খেলে নিয়ন্ত্রণে আসবে ব্লাড প্রেসার!
প্রতিদিন কলা খেলে নিয়ন্ত্রণে আসবে ব্লাড প্রেসার!

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

শিশুদের সার্বিক কল্যাণ সরকারের অন্যতম লক্ষ্য : উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ
শিশুদের সার্বিক কল্যাণ সরকারের অন্যতম লক্ষ্য : উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজকাল শিশুদের চশমা লাগে কেন?
আজকাল শিশুদের চশমা লাগে কেন?

২ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

ফেনীতে ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের রেল-সড়কপথ অবরোধ
ফেনীতে ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের রেল-সড়কপথ অবরোধ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে পরিবারের ৫ সদস্যকে ‘প্রতিবন্ধী’ দেখিয়ে ভাতা তোলার অভিযোগ
ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে পরিবারের ৫ সদস্যকে ‘প্রতিবন্ধী’ দেখিয়ে ভাতা তোলার অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কারা অধিদপ্তরে একযোগে আট জেলারের বদলি
কারা অধিদপ্তরে একযোগে আট জেলারের বদলি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপে সেভ হবে না মিডিয়া ফাইল!
হোয়াটসঅ্যাপে সেভ হবে না মিডিয়া ফাইল!

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চুল কেন ঝরে?
চুল কেন ঝরে?

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিদায় অ্যাস্টন ভিলার, সেমিতে পিএসজি
বিদায় অ্যাস্টন ভিলার, সেমিতে পিএসজি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন
সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রদল
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রদল

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
নব্য আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি, নেতৃত্বে থাকবেন না শেখ হাসিনা : আনন্দবাজার
নব্য আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি, নেতৃত্বে থাকবেন না শেখ হাসিনা : আনন্দবাজার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধের তালিকা বাড়ল, যুক্ত হলো নেপাল-ভুটান
ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধের তালিকা বাড়ল, যুক্ত হলো নেপাল-ভুটান

১২ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

আমিরাতের পরিকল্পনায় হুথিদের বিরুদ্ধে শুরু হতে পারে স্থল অভিযান
আমিরাতের পরিকল্পনায় হুথিদের বিরুদ্ধে শুরু হতে পারে স্থল অভিযান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল
যে হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় নেতানিয়াহু!
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় নেতানিয়াহু!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিবের পোশাক নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের খোঁচা!
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিবের পোশাক নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের খোঁচা!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণঅধিকার পরিষদ ছাড়লেন ফাতিমা তাসনিম, তবে রাজনীতি না
গণঅধিকার পরিষদ ছাড়লেন ফাতিমা তাসনিম, তবে রাজনীতি না

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের নির্দিষ্ট ডেটলাইন দেননি: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের নির্দিষ্ট ডেটলাইন দেননি: মির্জা ফখরুল

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

স্থলপথে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ করলো বাংলাদেশ
স্থলপথে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ করলো বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

‘কম্প্রোমাইজের রাজনীতি’ নিয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
‘কম্প্রোমাইজের রাজনীতি’ নিয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টানা তিন জয়ে বিশ্বকাপের আরও কাছে বাংলাদেশ
টানা তিন জয়ে বিশ্বকাপের আরও কাছে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ
লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাইবান্ধায় জামায়াত সমর্থক হলেন অর্ধশতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী
গাইবান্ধায় জামায়াত সমর্থক হলেন অর্ধশতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাঁচ বছর সরকারকে ক্ষমতায় রাখার বিষয়ে আমি কিছু বলিনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পাঁচ বছর সরকারকে ক্ষমতায় রাখার বিষয়ে আমি কিছু বলিনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরকীয়া ফাঁস: কিশোরীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, মা ও প্রেমিক গ্রেপ্তার
পরকীয়া ফাঁস: কিশোরীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, মা ও প্রেমিক গ্রেপ্তার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক জেলায় ৯৭৯টি বাঙ্কার ধ্বংস করল পাকিস্তান
এক জেলায় ৯৭৯টি বাঙ্কার ধ্বংস করল পাকিস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আগুন আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ, কোলে থাকা শিশুর মৃত্যু
আগুন আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ, কোলে থাকা শিশুর মৃত্যু

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন এমপির পরশে ‘ফকির’ হয়ে উঠে ধনী
তিন এমপির পরশে ‘ফকির’ হয়ে উঠে ধনী

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক মন্ত্রী তাজুলের স্ত্রীর ৩০৪ একর জমি জব্দ
সাবেক মন্ত্রী তাজুলের স্ত্রীর ৩০৪ একর জমি জব্দ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রণবীর-দীপিকার বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মা নীতু
রণবীর-দীপিকার বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মা নীতু

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনের সঙ্গে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ: ভারতের জন্য সুযোগ না চ্যালেঞ্জ?
চীনের সঙ্গে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ: ভারতের জন্য সুযোগ না চ্যালেঞ্জ?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১১ রান করেও ১৬ রানে জিতে পাঞ্জাবের ইতিহাস, বিপর্যয়ে কেকেআর
১১১ রান করেও ১৬ রানে জিতে পাঞ্জাবের ইতিহাস, বিপর্যয়ে কেকেআর

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কোটি টাকার ইয়াবাসহ মাদক সম্রাজ্ঞী গ্রেফতার, সহযোগিতায় স্বামী
কোটি টাকার ইয়াবাসহ মাদক সম্রাজ্ঞী গ্রেফতার, সহযোগিতায় স্বামী

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পিয়ার ক্যাপের সাটার ভেঙে পড়ল লরির ওপর
আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পিয়ার ক্যাপের সাটার ভেঙে পড়ল লরির ওপর

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সম্পত্তি বেচতে ক্রেতা খুঁজছেন দেশ ছেড়ে পালানো নসরুল হামিদ
সম্পত্তি বেচতে ক্রেতা খুঁজছেন দেশ ছেড়ে পালানো নসরুল হামিদ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ করবে বাংলাদেশ : আনিসুজ্জামান চৌধুরী
২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ করবে বাংলাদেশ : আনিসুজ্জামান চৌধুরী

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট
গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
সম্ভাবনা জাগিয়ে হারিয়ে যাওয়া নায়ক-নায়িকা
সম্ভাবনা জাগিয়ে হারিয়ে যাওয়া নায়ক-নায়িকা

শোবিজ

মুরগির হাড়ে মিটে মাংসের স্বাদ
মুরগির হাড়ে মিটে মাংসের স্বাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

৫০০ বছরের বউমেলা সোনারগাঁয়ে
৫০০ বছরের বউমেলা সোনারগাঁয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি চাইবে ভোটের তারিখ
বিএনপি চাইবে ভোটের তারিখ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এক-এগারোর নীলনকশা
এক-এগারোর নীলনকশা

প্রথম পৃষ্ঠা

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণচুক্তি এপ্রিলেই
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণচুক্তি এপ্রিলেই

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম আলো নিষিদ্ধ, সম্পাদকের বিচার দাবি ইসলামি দলগুলোর
প্রথম আলো নিষিদ্ধ, সম্পাদকের বিচার দাবি ইসলামি দলগুলোর

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটসামগ্রী কিনতে সময় লাগবে তিন-চার মাস
ভোটসামগ্রী কিনতে সময় লাগবে তিন-চার মাস

পেছনের পৃষ্ঠা

জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান
জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

সমালোচিত মাহি
সমালোচিত মাহি

শোবিজ

আসছে বর্ষায় জলজটের শঙ্কা
আসছে বর্ষায় জলজটের শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

কুয়েট ক্যাম্পাসে তুলকালাম
কুয়েট ক্যাম্পাসে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্ল্যাট দখলে টিউলিপের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
ফ্ল্যাট দখলে টিউলিপের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন জেফার
মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন জেফার

শোবিজ

আগস্টে বাংলাদেশে আসছে ভারত
আগস্টে বাংলাদেশে আসছে ভারত

মাঠে ময়দানে

রূপগঞ্জ মেলায় জয়া
রূপগঞ্জ মেলায় জয়া

শোবিজ

অভিনেত্রী গুলশান আরা আর নেই
অভিনেত্রী গুলশান আরা আর নেই

শোবিজ

কেন আড়ালে বাঁধন
কেন আড়ালে বাঁধন

শোবিজ

পূর্ণিমার স্মৃতিচারণা
পূর্ণিমার স্মৃতিচারণা

শোবিজ

সাত বছর পর ফেডারেশন কাপ ফাইনালে কিংস-আবাহনী
সাত বছর পর ফেডারেশন কাপ ফাইনালে কিংস-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল
বাংলাদেশ পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল

মাঠে ময়দানে

৩ মে ঢাকায় হেফাজতের মহাসমাবেশ
৩ মে ঢাকায় হেফাজতের মহাসমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নারী বিশ্বকাপের পথে বাংলাদেশ
নারী বিশ্বকাপের পথে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মহাকাশ ভ্রমণে কেটি পেরি
মহাকাশ ভ্রমণে কেটি পেরি

শোবিজ

রিয়ালের কামব্যাক না আর্সেনালের স্বপ্নযাত্রা
রিয়ালের কামব্যাক না আর্সেনালের স্বপ্নযাত্রা

মাঠে ময়দানে

লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ জামায়াত আমিরের
লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ জামায়াত আমিরের

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ দিন ধরে সংঘর্ষ আহত শতাধিক
পাঁচ দিন ধরে সংঘর্ষ আহত শতাধিক

দেশগ্রাম

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মোদির পাল্টা তোপ
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মোদির পাল্টা তোপ

প্রথম পৃষ্ঠা

অনেক বছর স্বাধীনভাবে কর্মসূচি করতে পারিনি
অনেক বছর স্বাধীনভাবে কর্মসূচি করতে পারিনি

নগর জীবন