সময়ের সঙ্গে বদল হয় রুচির। সঙ্গে বদলায় ফ্যাশনপ্রেমীদের চুল শোভিত করার পদ্ধতি। কয়েক বছর ধরে মেয়েদের চুলের ফ্যাশনে এসেছে নানা পরিবর্তন। সেই ধারায় কয়েক বছর ধরে চলছে রঙিন চুলের ট্রেন্ডি লুক। কিশোরী থেকে মধ্যবয়স্ক সব বয়সিদের কাছে চুল রঙিন করা বা হাইলারটার ব্যবহার এখন ট্রেন্ডি।
ত্বক বুঝে চুলের রং বাছুন
মিশ্র ত্বকে রং ম্যাচ করা কষ্টসাধ্য। তাই মিশ্র ত্বকে চুল রঙিন করাতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ত্বকের ধরন বুঝে হেয়ার কালার সম্পর্কে সঠিক ধারণা কেবল তারাই দিতে পারবেন। ব্রাউনের নানা শেড সাধারণত সব ধরনের ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায়। এক্ষেত্রে মেহগনির শেড বেছে নিতে পারেন। বার্গান্ডি কালারও মন্দ হবে না। গোল্ডেন হেয়ার কালার উপমহাদেশের মানুষের ত্বকের সঙ্গে বেমানান। চাইলে চুলের কিছুটা অংশ হাইলাইট করা যেতে পারে। সাদা-রুপালি রংও হাইলাইটার হিসেবে অনেকের পছন্দ। এ ছাড়া রেড, গ্রিন, ব্লু এবং নিয়নের নানা শেড এমনকি হলুদ দিয়েও ইন্টারেস্টিং হাইলাইট করা যায়।
সঠিক রং বেছে নিন
মনে রাখবেন প্রথমেই পারমানেন্ট হেয়ার কালার একদম নয়। এতে চুলের ক্ষতি হতে পারে। মন চাইলে সেমি পারমানেন্ট হেয়ার কালার করাতে পারেন। যেন পরবর্তীতে কয়েকবার শ্যাম্পু করেই ধুয়ে নেওয়া যায়। প্রথমবার চুল রঙিন করালে প্রফেশনালের সাহায্য নিন। তারা চুলের ধরন ও ত্বকের রং বুঝে হেয়ার কালার করাবেন। রং বাছাই করার ক্ষেত্রে চুলের রঙের বিপরীত শেডের কালার না করে ন্যাচারাল কালারের কাছাকাছি করাই ভালো। চুলের কালার করার সময় অবশ্যই বয়স, গায়ের রং ও পেশার কথা মাথায় রাখতে হবে।
ঘরে চুল রঙিন করতে
সময়ের অভাবে প্রফেশনালের কাছে যেতে না পারলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল কালার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে চুল রঙিন করা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা চাই। আজকাল ইউটিউবে চুল রঙিন করার অনেক ভিডিও পাবেন। যেখানে আপনাকে নির্দেশনা দিয়ে জানিয়ে দেবে হেয়ার কালার করার পদ্ধতি। এ ছাড়া হেয়ার কালারের প্যাকেটেও থাকে চুল রঙিন করার নানা নির্দেশনা। বাজারে নানা ধরনের হেয়ার কালার মিলবে। এসব কালারের ভিড়ে পছন্দের হেয়ার কালার বেছে নিন। চুল রঙিন করার আগে কালারে অ্যালার্জির সম্ভাবনা আছে কি না তা পরীক্ষামূলক টেস্ট করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে পেছনে ঘাড়ের অংশের কিছু চুল নিয়ে তাতে রং ব্যবহার করতে পারেন।
রঙিন চুলের পরিচর্যা
মনে রাখতে হবে, চুল রঙিন করার পর সঠিক যত্ন প্রয়োজন। চুল রঙিন করানোর পর অয়েল ম্যাসাজ প্রয়োজন। এ জন্য অন্তত সপ্তাহে এক দিন গরম তেল ম্যাসাজ করুন। শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে আমন্ড অয়েল বা তিলের তেল সামান্য গরম করে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। এতে স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে নরম একটি তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে মাথার চুলগুলো ৫ মিনিট জড়িয়ে রাখুন এবং এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। যতটা সম্ভব হেয়ার ড্রায়ার বা চুল আয়রন করা থেকে বিরত থাকুন।
শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার
রঙিন চুল ভালো রাখতে চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখা উচিত। রঙিন চুলে কালার প্রটেকটিভ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন; যা চুলের রংকে প্রটেস্ট করে এবং চুল নরম ও সফট রাখবে। শ্যাম্পু করার আগে চুল ভিজিয়ে শ্যাম্পু ভালোভাবে স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। রঙিন চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে কখনোই গরম পানি ব্যবহার করবেন না। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।