দিনদিন আরও উন্নত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। ব্যবসা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণে ব্যবহার হচ্ছে এআই। তাই এআই আপনার কতটা ডেটা ধারণ ও প্রক্রিয়াজাত করতে পারে তার ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে। তা ছাড়া এআই-চালিত বিশ্বে নিজের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে নিতে পারেন পাঁচ পদক্ষেপ...
ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কে সচেতন
এআইয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত গোপনীয়তার ঝুঁঁকি কমাতে আপনি যা করতে পারেন তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হলো-অনলাইনে কিছু শেয়ার করার আগে দুবার ভাবা। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।
ডেটা ব্রোকারের সংস্পর্শ সীমিত করুন
ডেটা ব্রোকার, যারা ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে। এ তথ্যগুলোয় আপনার আয়, স্বাস্থ্যের অবস্থা ও অনলাইন আচরণের মতো সংবেদনশীল বিবরণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় এআই অ্যালগরিদমও ব্যবহার হতে পারে, যা তথ্য বিশ্লেষণসহ নানা উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে। তবে এ ধরনের বিক্রি বা শেয়ারিং থেকে রক্ষা পেতে অপ্ট-আউট অনুরোধ করতে পারেন।
অনলাইন নিরাপত্তা জোরদার
ব্যক্তিগত তথ্যে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ রোধ করতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এজন্য সিম্বল, নম্বর, আপার ও লোয়ারকেস অক্ষর ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন, ফিঙ্গার প্রিন্ট বা ফেশিয়াল রিকগনিশন ব্যবহার করতে হবে।
গোপনীয়তা রক্ষা করে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার
কিছু সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যেগুলো প্রচুর পরিমাণে তথ্য সংগ্রহ করে ও পরবর্তী সময় তা ডেটা ব্রোকারদের মতো আচরণ করে। জনপ্রিয় হলেও সেসব সার্চ ইঞ্জিন এড়িয়ে চলুন। গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষা দেয় এমন পরিষেবা প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করুন।
‘এআই’ গোপনীয়তা বিধি জেনে নিন
অধিকার সম্পর্কে না জানলে আপনি কার্যকরভাবে আপনার ডেটার গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারবেন না। সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এআই প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আইন করে চলেছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে পারেন।
তথ্যসূত্র : টেক টাইমস