ম্যাচ আম্পায়ারদের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এবং ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। তবে এবার সেই শাস্তি আরও বাড়ানো হয়েছে। আরও এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে মোট ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এবং ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তারকা এই ক্রিকেটারকে।
ম্যাচ শেষে এক প্রকার হুমকির সুরে সংবাদমাধ্যমকে হৃদয় বলেছেন, ‘ঘটনা যদি অন্যদিকে যায়, আমি মুখ খুলব ইনশাআল্লাহ।’ তার এমন মন্তব্যের পর শাস্তিটা আর এক ম্যাচেই থামেনি।
গতকাল মিরপুরে আবাহনী লিমিটেডকে হারানোর ম্যাচে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ান হৃদয়। ঘটনাটা মোহামেডানের বোলিং ইনিংসের সপ্তম ওভারের। পেসার ইবাদত হোসেনের বল প্রতিপক্ষের ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুনের প্যাডে লাগলে অনফিল্ড আম্পায়ার তানভীর আহমেদ মোহামেডানের আবেদনে সাড়া দেন না।
এতে তানভীরের সঙ্গে তর্কে জড়ান অসুস্থ তামিম ইকবালের বদলে মোহামেডানকে নেতৃত্ব দেওয়া হৃদয়। এরই একপর্যায়ে লেগ আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে বাগতিণ্ডায় জড়ান বাংলাদেশি ব্যাটা।
মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য তাই শাস্তি হিসেবে হৃদয়কে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এবং তার নামের পাশে ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট বসিয়ে দেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল।
শাস্তি পাওয়ার পর যদি কোনো খেলোয়াড় ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে নিয়ম ভঙ্গ করেন তাহলে আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী লেভেল ২-এর ২.৮ ধারায় ম্যাচ রেফারি দ্বিতীয়বার রিপোর্ট জমা দিতে পারেন। সেই নিয়ম মেনেই দ্বিতীয় দফায় ৩ ডিমেরিট পয়েন্টের সঙ্গে হৃদয়কে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে ৮০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তার।
হৃদয়ের এমন অসদাচরণ অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। তিনি বলেছেন, ‘একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ অগ্রহণযোগ্য। আমরা তাই কঠোর হয়েছি।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই