নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেই টি-২০ নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যর্থতায় তার ওয়ানডে নেতৃত্ব কেড়ে নেয় বিসিবি। তখনই বোঝা গিয়েছিল টেস্ট নেতৃত্ব তিনি ছেড়ে দেবেন। কারণ নাজমুল বরাবরই তিন ফরম্যাটে এক নেতৃত্বের পক্ষে। তার ব্যাখ্যা, একই ড্রেসিং রুমে তিন অধিনায়ক থাকলে দল পরিচালনায় সমস্যা হয়। কিন্তু বিসিবি তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কই রেখেছে। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল শুরুতে দলের নেতৃত্ব পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন। এখন কথা বলছেন অনেকটাই টেকনিক্যালি। গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টি-২০ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে ঘরের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্ট ও তিন টি-২০ ম্যাচের জন্য। টি-২০ ম্যাচে টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন লিটন। নাজমুলের সরে দাঁড়ানোই টাইগাররা এখন টেস্টে নেতৃত্বশূন্য। আগামীকাল বিসিবির কার্যকরী পরিষদের সভা। সেখানে চূড়ান্ত করা হবে নতুন টেস্ট অধিনায়ক। কে হবেন নতুন টেস্ট অধিনায়ক? তালিকায় রয়েছেন টি-২০ অধিনায়ক লিটন, ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ, সাবেক দুই অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক। সবাইকে আশ্চর্য করে সেই তালিকায় রয়েছে দেশসেরা বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের নাম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটি মুশফিকের জন্য স্পেশাল। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার বিরল কীর্তি গড়বেন। বিসিবি চেয়েছিল, তাকে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে খেলিয়ে বিদায় জানাতে। কিন্তু ৯৮ টেস্ট খেলা মুশফিক রাজি হননি। অভিজ্ঞতার জন্য মুমিনুলকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অভিমানে তিনিও রাজি হননি। পরিচালকদের অনেকেই চাইছেন, নাজমুলকে রেখে দিতে। কিন্তু নাজমুলও তার অবস্থানে অনড়। তালিকায় এখন তিন ক্রিকেটার- লিটন, মিরাজ ও তাইজুল। লিটন ও মিরাজের টেস্ট নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ। লিটন নেতৃত্ব দিয়েছেন একটি মাত্র টেস্টে। লিটনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ৫৪৬ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়েছিল আফগানিস্তানকে। টেস্ট ইতিহাসে রানের হিসাবে যা তৃতীয় বৃহত্তম জয়। তালিকায় আরেকজনের নাম বিস্ময়কর। ৫৫ টেস্টে ২৩৭ উইকেট পাওয়া তাইজুল নিজ থেকেই টেস্ট অধিনায়ক হতে চেয়েছেন।