জেলার সর্ব দক্ষিণের উপজেলা চরফ্যাশন এবং বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা নিয়ে গঠিত ভোলা-৪ আসনে ভোটের মাঠে রয়েছেন বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা। এর মধ্যে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন নব্বইয়ের গণ আন্দোলনের সামনের সারির সৈনিক ডাকসুর তৎকালীন এজিএস এবং এ আসন থেকে তিনবার নির্বাচিত সাবেক এমপি নাজিম উদ্দীন আলম ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদি হাসান রনভী এবং মোহাম্মদ মোনতাছির মোরশেদ মনোনয়নপ্রত্যাশী।
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামাল ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন গণসংযোগ করে চলছেন। বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দীন আলম বলেন, আমি এমপি থাকাকালে অবহেলিত এই জনপদে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার আলো ছড়াতে কাজ করেছি। নকলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণে পদক্ষেপ নিয়েছি। এলাকায় বড় রাস্তা, সেতু নির্মাণ করে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দিলে নদী ভাঙন রোধ ও এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে জনগণ আমাকে এমপি নির্বাচিত করলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করব। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে ৫০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করছি, ১০ হাজার মানুষের জন্য চশমা, ওষুধসহ ফ্রি চক্ষু চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। সব দিক বিবেচনায় দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশা করি।
ব্যারিস্টার মেহেদি হাসান রনভী বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমার নির্বাচনি এলাকাকে আদর্শ সংসদীয় আসন হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ। জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামাল বলেন, জনগণ আমাকে নির্বাচিত করলে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে কাজ করব।