বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী এলাকায় একটি মন্দিরের সামনে হাবিবুর রহমান খোকন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাকি ৮ জন অজ্ঞাতনামা। হত্যার চারদিন পর শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে এ মামলা দায়ের করেন নিহত খোকনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- মুন্না, ছামিউল, রকি, সিয়াম, সাগর, ধলা, মেহেদী, কাকন, মহিন, শাহিন, শাওন ও রাফিদ। তাদের বাড়ি শহরের সেউজগাড়ী ও কৈচর এলাকায়।
এর আগে, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে খোকন ও তার বন্ধু বাধন মোটরসাইকেলে করে সাবেক ছাত্রদল নেতা পাভেলকে দেখতে সেউজগাড়ী পালপাড়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীদের একটি দল তাদের ঘিরে ফেলে। মুহূর্তের মধ্যে রামদা ও হাসুয়া দিয়ে তাদেরকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খোকন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হামলাকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খোকন ও বাধনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হাবিবুর রহমান খোকন মালতিনগর দক্ষিণপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি পেশায় রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী ছিলেন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির জানান, খোকন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে থানা মামলা করেন। মামলায় ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ