যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন বড় এক চ্যালেঞ্জ ফিফার জন্য। দর্শকরা মাঠে আসবেন কি? দর্শক ছাড়া এত বড় টুর্নামেন্ট সফল হবে কি করে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর এতদিনে পেয়ে গেছেন সমালোচকরা। বেশ কিছু ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তারপরও দর্শক টানার দিক দিয়ে টুর্নামেন্টটি সফল হয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, বায়ার্ন মিউনিখ এবং পিএসজির মতো ইউরোপিয়ান দলগুলোর খেলা দেখতে মাঠে ভিড় জমিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। তবে ক্লাবের বাইরে ও লাতিন আমেরিকান ক্লাবগুলো নিয়ে দর্শকদের আকর্ষণ ছিল না। বিশেষ করে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সাড়া ফেলেছে দর্শকদের মধ্যে। গ্রুপ পর্ব খেলে আর্জেন্টিনার দুই ক্লাব রিভার প্লেট ও বোকা জুনিয়র্স বিদায় নিলেও নকআউট পর্বে টিকে ছিল ব্রাজিলের চারটি ক্লাব। সেমিফাইনালে ব্রাজিলের একমাত্র আশা হয়ে টিকে আছে ফ্লুমিনেন্স। আজ নিউ জার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডে অবস্থিত মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ইউরোপিয়ান ক্লাব চেলসির মুখোমুখি হবে ফ্লুমিনেন্স। জিতলেই ফাইনাল খেলবে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বেশ ভালো খেলা উপহার দিচ্ছে। তবে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর সামনে কঠিন লড়াই করতে হচ্ছে ব্লুজ খ্যাত দলটিকে। গ্রুপ পর্বে ফ্লেমিংগোর কাছে পরাজিত হয়েছিল চেলসি। অবশ্য কোয়ার্টার ফাইনালে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে হারিয়েছে তারা। এবার সেমিফাইনালে চেলসির সামনে আরও এক ব্রাজিলিয়ান প্রতিপক্ষ। এরই মধ্যে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর বিপক্ষে সফলতা দেখিয়েছে ফ্লুমিনেন্স। গ্রুপ পর্বে বুরুসিয়া ডটমুন্ডের সঙ্গে ড্র করেছে। এরপর নকআউট পর্বের শুরুতে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নস লিগের রানার্সআপ ইন্টার মিলানকে। ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর বিপক্ষে সফলতা আছে ফ্লুমিনেন্সের। সেমিফাইনালেও কি এ সফলতা ধরে রাখতে পারবে তারা?
ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর ম্যাচে ক্লাব বিশ্বকাপে স্টেডিয়াম ছিল দর্শক পূর্ণ। আজও এমনটা দেখা যেতে পারে। তবে চেলসি বর্তমানে এজ ভয়ংকর দল। গত কয়েকটি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে তেমন কোনো সুযোগ দেয়নি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এ ক্লাব। ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষেও চেলসিকে দেখা যেতে পারে একই রূপে। চেলসি জিতলেই ক্লাব বিশ্বকাপে অল ইউরোপিয়ান ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ইউরোপের আধিপত্যে বাধা দিতে ফ্লুমিনেন্সের জয়ের বিকল্প নেই।