হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভেঙে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ। অন্তত ৫০টি দোকান ও যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার তিমিরপুর গ্রামের আব্দুল আউয়ালের পুত্র ফারুক মিয়া (৪৫)। আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালসহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৭জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আনমনু গ্রামের আশাহিদ আলী আশার সঙ্গে তিমিরপুর গ্রামের খসরু মিয়া তালুকদারের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। এনিয়ে গেল কয়েকদিন উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। সোমবার বিকেলে নবীগঞ্জ শহরের গাজীরটেক পয়েন্টে উভয় পক্ষ ফের সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এসময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ভাঙচুর করা হয় অন্তত ৫০টি দোকান পাঠ ও যানবাহন। পরে সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনে।
নবীগঞ্জ থানার (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গোটা এলাকায় নজরদারি চলছে। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ওসি বলেন, ফারুক মিয়া নামে আহত এক ব্যক্তিকে সিলেট নেয়ার পথে রাত ৯টার দিকে মারা যান।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করার পরও হাজারো মানুষ উত্তেজিত অবস্থায় বাজারে অবস্থান করছিল। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল