একজন ফুটবলারের বড় স্বপ্ন জাতীয় দলে খেলা। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেই স্বপ্ন আমার পূরণ হয়েছে। ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে পাওয়া লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চড়িয়ে দীর্ঘদিন খেলেছি। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে। সত্যি আমার জীবনটা ধন্য। কত মধুর ও বেদনার স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এত কিছুর পরও আমার আফসোস লাগছে। এখনকার ফুটবলারদের প্রতি হিংসা হচ্ছে। কেন জানেন, বাংলাদেশের ফুটবল এখন উন্মাদনায় ভাসছে। চারদিকে শুধু হামজা দেওয়ান চৌধুরী, সামিত সোম ও ফাহামিদুল ইসলামদের নাম। বিশেষ করে হামজা তো এখন বাংলাদেশে মেসি-রোনালদোর চেয়ে জনপ্রিয়।
কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি বাংলাদেশে একঝাঁক প্রবাসী ফুটবলার লাল-সবুজ জার্সি চড়িয়ে জাতীয় দলে খেলবেন। ফুটবল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই তাঁরা কাজটি করেছেন। প্রত্যাশা পূরণ করেছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীদের। আসলে এ ছাড়া কোনো পথও ছিল না। ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থেকে ফুটবল অনেকটা লাইফ সাপোর্টে চলে গিয়েছিল। প্রবাসীরা আসায় নতুন পথ খুঁজে পেল বাংলাদেশ। আমি প্রবাসীদের নিয়ে বড্ড বেশি আশাবাদী। জানি আমার এ কথা শুনে হাসবেন। তার পরও বলছি, জর্ডান ও উজবেকিস্তানের মতো দেশ প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলছে। আমার বিশ্বাস আমরাও একদিন পারব। যদি প্রবাসীদের আগমনটা ধরে রাখতে পারি। ম্যাচ হেরে গেছি, তাতে কি? এভাবেই ফুটবল এগিয়ে নিতে হবে।
হামজাদের ঘিরে অনেক দিন পর ফুটবলে উন্মাদনা দেখছি। পিঁপড়ের মতো দর্শক যেন গিজগিজ করছে। সত্তর ও আশির দশকের সেই মধুর স্মৃতি চোখে ভেসে উঠল। হামজাদের যখন খেলা দেখছি তখন আফসোসে মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করছিলাম-আমি কেন ওদের সতীর্থ হতে পারলাম না। যারা হয়েছেন তারা সত্যিই ভাগ্যবান।