আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলা নিয়ে দিনাজপুর-১ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন। আর বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী তিনজন। তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মনজু, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ধলু ও কাহারোলের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী। জামায়াতের প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তরের শুরা সদস্য দিনাজপুর শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জেলা আইনবিষয়ক সম্পাদক মো. চান মিঞা। অপরদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বীরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনুর ইসলাম ও এনসিপির বদরুদ্দোহা চৌধুরী মুক্তারের নাম শোনা যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কৃষক দল নেতা জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মনজু মাঠে এগিয়ে রয়েছেন। তবে বিএনপির বীরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ধলু ও কাহারোল উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরীও মনোনয়ন চাইবেন। আসনটি আবার পেতে চায় জামায়াত। এবারের প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তরের শুরা সদস্য, দিনাজপুর শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান। একইভাবে ইসলামী আন্দোলনের দিনাজপুরের জেলা আইনবিষয়ক সম্পাদক মো চান মিঞা মাঠপর্যায়ে সরব রয়েছেন।
এ ছাড়াও বীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনুর ইসলাম প্রার্থী হতে চান। দলীয় সিদ্ধান্ত হলে তিনি এবারও প্রার্থী হবেন বলে জানা যায়। এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বদরুদ্দোহা চৌধুরী মুক্তার নাম শোনা যাচ্ছে।
১৯৮৬ সাল থেকে এই আসনটিতে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি একবার করে জয়ী হয়েছে। বাকি সময় অন্য দল জয়লাভ করে। তাই আসনটি ফিরে পেতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। জাতীয় পার্টির কোনো কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। তবে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের প্রার্থী রয়েছে। বামসহ নতুন দলগুলোর প্রার্থী কিংবা নেতা-কর্মীদের কোনো সাড়াশব্দ নেই।
জানা যায়, দিনাজপুর-১ আসনের ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এই আসনে ৪২ শতাংশ ভোটার হিন্দু ধর্মাবলম্বী। অপরদিকে এই আসনে ময়মনসিংহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, রংপুর, নোয়াখালী, ঢাকা ও বগুড়া জেলার মানুষের বসবাস রয়েছে। তাদের জেলার সঙ্গে মিলিয়ে রয়েছে পাড়ার নামও। হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভোটারের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতি এবং তারা কোন দলকে ভোট দেবে তার ওপরই নির্ভর করবে জয়-পরাজয় এমনটা বলছে তৃণমূলের মানুষ। তাই এই আসনের হিন্দু ভোটার একটা বড় ফ্যাক্টর। তাদের দিকেও নজর রাখতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে।
উল্লেখ্য এ আসনে এবার নতুন ভোটার হয়েছে বীরগঞ্জে ১৪ হাজার ৪৩৯ ও কাহারোলে ৬ হাজার ১৭২ জন। আর মোট ভোটার ৪ লাখ ১৯ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে বীরগঞ্জে ২ লাখ ৭৯ হাজার ১৭৪ ও কাহারোলে ১ লাখ ৩৯ হাজার ১২৬ ভোটার।