লিওনেল মেসি বার্সেলোনায় একটি স্বর্ণ যুগ উপহার দিয়েছেন। যে যুগে কাতালান ক্লাবটি ১০ বার লা লিগায় জয় করে। পাশাপাশি চারবার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগসহ মোট ৩৪টি ট্রফি শোকেসে পুরে বার্সা। এমন যুগ কি আবার ফিরবে বার্সেলোনায়! আরও একজন ‘মেসি’র অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন কাতালান সমর্থকরা। আনসু ফাতির মধ্যে অনেকে দেখেছিলেন মেসিকে। ফাতির নাম অনেকটা আড়ালেই পড়ে গেছে। তবে আশা জাগাচ্ছেন লামিন ইয়ামাল। তরুণ এই স্প্যানিশ তারকা এরই মধ্যে ফুটবল দুনিয়ায় নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছেন। গত বুধবার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বার্সেলোনা-ইন্টার মিলান ৩-৩ গোলে ড্র করে। এ ম্যাচে দারুণ খেলেছেন ইয়ামাল। গোল করার পাশাপাশি ম্যাচজুড়ে নিজের নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। ইন্টার মিলানের জমাট বাঁধা ডিফেন্স লাইনে ফাটল ধরিয়েছেন বার বার। ইয়ামালে নতুন যুগের সূচনা দেখছে বার্সেলোনা। ক্লাবের তারকা ফুটবলার ফেরান তোরেস বলছেন, ‘আমরা জানি লামিন কেমন ফুটবলার। তার খেলায় এখন আর আমরা বিস্মিত হই না। সে ম্যাচে ফলাফল নির্ধারণ করে দেওয়ার মতো একজন ফুটবলার।’ বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলছেন, ‘বড় ম্যাচে এই ফুটবলারের (লামিন ইয়ামাল) দক্ষতা দেখেছে সবাই। আজও (বুধবার) সে তা দেখিয়েছে। এই দলে তাকে পাওয়াটা সত্যিই দারুণ ব্যাপার।’ প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলানের কোচ সিমোন ইনজাগি বলছেন, ‘লামিন এমন একজন ফুটবল প্রতিভা যে, প্রতি ৫০ বছরে একবার আসে। কাছ থেকে তাকে খেলতে দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি।’
লামিন ইয়ামাল অবশ্য নিজেকে এত বড় তারকা মানতে রাজি নন। মেসির সঙ্গে তুলনা করতে চান না নিজেকে। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে তার (মেসির) সঙ্গে তুলনা করতে চাই না। কারও সঙ্গেই তুলনা করতে চাই না। মেসির সঙ্গে তো নয়ই। তিনি ইতিহাসের সেরা ফুটবলার।’ তবে ১৭ বছর বয়সেই ইউরো কাপ জয় করে বিশ্বসেরা তারকাদের তালিকায় তুলে এনেছেন নিজেকে। লামিন ইয়ামাল আরও একটা অসাধারণ যুগ উপহার দিতে পারেন বার্সেলোনাকে।