দেশে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। উদ্ভাবনী শিক্ষা মডেল, গবেষণাভিত্তিক কাঠামো এবং শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক পরিবেশের মাধ্যমে ইউল্যাব মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ইউল্যাব ‘লিবারেল আর্টস’ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণ করে, যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রধান বিষয়ের পাশাপাশি একটি অতিরিক্ত বিষয়েও (মাইনর) অধ্যয়ন করতে পারেন। এতে তারা বিশ্লেষণী চিন্তা, সৃজনশীলতা ও বহুমুখী দক্ষতা অর্জন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টি কেবল বইয়ের পড়াশোনায় সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পায় অত্যাধুনিক গবেষণাগারে। এখানে রয়েছে মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস (IoT), কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং, মিডিয়া ও টেলিকমিউনিকেশন ল্যাব, যা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে রাখে।
ইউল্যাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হলো এর ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (IQAC), যা শিক্ষাদান, মূল্যায়ন এবং পাঠ্যক্রমকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও দেশীয় প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। উচ্চমান বজায় রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ইউল্যাব গর্বের সঙ্গে ISO 9001:2015 সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে, যা এর নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন এবং মান ব্যবস্থাপনার প্রতি প্রতিশ্রুতিকে প্রমাণ করে।
এ ছাড়া, ইউল্যাব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ র্যাংকিংয়ে স্থান করে নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে QS World University Rankings, THE Impact Rankings, Ges WURI (Worlds Universities with Real Impact). উল্লেখযোগ্য একটি দিক হলো, প্রতিষ্ঠানটি এমন একটি স্বচ্ছ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তুলেছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সঙ্গে সহজে ও মুক্তভাবে যোগাযোগ করতে পারে। সরাসরি ইমেইলের মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ প্রশাসনের কাছে তাদের মতামত বা সমস্যার কথা নির্ভয়ে জানাতে পারে, যা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং অংশগ্রহণমূলক মনোভাব বিকাশে সহায়ক হয়। আন্তর্জাতিক সংযোগের ক্ষেত্রে ইউল্যাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথসহ একাধিক বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাডেমিক অংশীদারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার বৈশ্বিক সুযোগ তৈরি হয়েছে। ক্যারিয়ার প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও ইউল্যাবের ভূমিকা প্রশংসনীয়। এখানে রয়েছে আলাদা ক্যারিয়ার সার্ভিস বিভাগ, যা শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ও চাকরি খোঁজায় সহায়তা করে। পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণাকেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সামাজিক উন্নয়ন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও পরিবেশ-সচেতন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে। সার্বিকভাবে, ইউল্যাব প্রমাণ করেছে যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানসম্মত উচ্চশিক্ষার শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ইউল্যাব দেশের বেসরকারি উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় উদ্ভাবনীতা, আন্তর্জাতিক মান এবং শিক্ষার্থীবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গির একটি মডেল হিসেবে আরও সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করবে।