বেতন-ভাতা নিয়মিত না পাওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর নতুনবাজার সড়কে ময়লা ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। গতকাল এ কর্মসূচি পালন করেন। এদিকে, এমন কর্মসূচির কারণে সংশ্লিষ্ট সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, নতুনবাজার থেকে নর্দা অভিমুখী সড়কের পাশে ময়লার ডিপোটি তালা ঝোলানো ছিল। এতে ক্ষুব্ধ পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা সড়কের ওপর ময়লা ফেলে প্রতিবাদ জানান। পরে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা এসে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে ময়লা অপসারণের কাজ শুরু করান। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অভিযোগ, চার মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। তাই সড়কে ময়লা ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সরেজমিন নতুনবাজার গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার প্রায় অর্ধেকজুড়ে ফেলে রাখা হয়েছে আবর্জনা। নতুনবাজার থেকে কোকাকোলা পর্যন্ত আবর্জনা ফেলা হয়। আবর্জনার কারণে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হয়ে যায়। অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করায় দেখা দেয় তীব্র যানজট। এ যানজট গুলশান থেকে বাড্ডা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। কর্মসূচি প্রসঙ্গে জাকের আলী নামে এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী বলেন, ‘চার মাস ধরে আমরা বেতন পাচ্ছি না। বারবার বলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় রাস্তায় আবর্জনা ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
তবে ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বাসাবাড়ি থেকে ভ্যান সার্ভিসে ময়লা সংগ্রহ করে নিয়ে আসা ব্যক্তিরা ডিএনসিসির কর্মী নন। তারা কমিউনিটির মাধ্যমে কাজ করেন, আগে কাউন্সিলের মাধ্যমে করতেন। সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে জায়গা থাকা সত্ত্বেও তারা অদ্ভুত কারণে রাস্তায় আবর্জনা ফেলে জনজীবন অচল করতে চেয়েছেন। তাদের ময়লা ফেলার ধরন দেখে মনে হয়েছে এটা পরিকল্পিত। বেতন বাকি থাকলে তারা সংশ্লিষ্ট বাসা থেকে ময়লা সংগ্রহ না করলেও পারতেন। কিন্তু এ ধরনের কাজে সিটি করপোরেশন বিব্রত বোধ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে জনভোগান্তি কমাতে আমরা পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পাঠিয়ে ময়লা সরানোর ব্যবস্থা করি।’