বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল একবার বক্তৃতা করছিলেন। বলছিলেন, কীভাবে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। এমন সময় এক বৃদ্ধা উঠে দাঁড়ালেন। বললেন, ‘বললেই হলো? পৃথিবী আসলে গোল নয়, চ্যাপ্টা। আর পৃথিবীটা আছে একটা কচ্ছপের পিঠের ওপর। সে কথা আমরা জানি না ভেবেছ?’
বার্ট্রান্ড হেসে বললেন, ‘ঠিক আছে ম্যাডাম, আপনার কথাই মানলাম। কিন্তু বলুন তো, যে কচ্ছপটা পিঠের ওপর পৃথিবীটা বয়ে বেড়াচ্ছে, সে কিসের ওপর দাঁড়িয়ে আছে?’
বৃদ্ধা বললেন, ‘তোমার মাথায় এত বুদ্ধি, আর এটা জানো না? কচ্ছপটার নিচে আছে আরেকটা কচ্ছপ। তার নিচে আরেকটা কচ্ছপ, তার নিচে আরেকটা...’
► শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ সবার দিকে সমান নজর রাখতেন। কেউ অসুস্থ হলে কবি ঠিক বুঝতে পারতেন। একদিন শৈলজারঞ্জনকে তিনি বলেন, ‘কী ব্যাপার, গলাটা ধরা ধরা লাগছে, শরীর ভালো নেই নিশ্চয়ই।’ শৈলজারঞ্জন স্বীকার করে বলেন, ‘হ্যাঁ গুরুদেব, শরীরটা ভালো যাচ্ছে না।’ রবীন্দ্রনাথ তখন শৈলজারঞ্জনকে জোর করে বায়োকেমিক ওষুধ দিয়ে বলেন, নাও, এক্ষুনি খেয়ে নাও। আর হ্যাঁ, নামটা কিন্তু খাতায় লিখে রাখতে ভুলো না।’ এর কিছুদিন পরে কবি অন্য একজনকে শৈলজারঞ্জন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ‘ওকে অমন মোটাসোটা দেখছ, ওর ভিতরে হাইপোকনড্রিয়া আছে। খালি ওষুধ খায়!’ এই কথায় শৈলজারঞ্জন কবিকে বলেন, ‘গুরুদেব, আমি কি ওষুধ চেয়ে খাই? আপনি এ কথা বলেছেন যে?’
কবি তখন হেসে বলেন, ‘হ্যাঁ বলেছি, রগড় করে বলেছি, তুমি একটু দেরিতে বুঝেছ, এই যা!’