গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত আজেদা বেগম (৩৫) মারা গেছেন। ঘটনার চার দিন পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত আজেদা বেগম উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত শামীম মিয়া (৪২) গোবিন্দগঞ্জের কামারদহ ইউনিয়নের বেতগারড়া এলাকার মৃত মাফু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। সংসার জীবনে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার এমপিপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্বামী শামীম মিয়ার ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন আজেদা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বগুড়ায় রেফার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, অভাবের সংসারে আজেদা অন্যের বাসায় কাজ করতেন। শামীম হোটেলে কাজ করলেও নেশা ও মোবাইল ফোনে জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। এসব নিয়ে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলহ লেগেই থাকত। ঘটনার দিনও তাদের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শামীম ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আজেদার পেটে আঘাত করেন। এরপর ছেলেকে হত্যা এবং নিজেকেও শেষ করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান শামীম।
গুরুতর অবস্থায় আজেদাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বগুড়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে পরদিন বুধবার তাকে বাড়ি পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে রাতেই তার অস্ত্রোপচার করানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত নারীর মৃত্যুর খবর জেনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ