ভারতের বিহার রাজ্যের মুজাফ্ফরপুরে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। যৌতুকের দাবিতে আসবাব, টাকা ও গহনা না পেয়ে এবার পুত্রবধূর কিডনি চেয়ে বসেছেন শ্বশুর-শাশুড়ি। অস্বাভাবিক এই দাবির বিরুদ্ধে পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন নির্যাতিত তরুণী দীপ্তি।
গত মঙ্গলবার (১০ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়ের পর থেকেই দীপ্তির ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের যৌতুকের চাপ ছিল। বাবার বাড়ি থেকে টাকা ও গহনা আনার জন্য বারবার চাপ দেওয়া হয়। এমনকি তার স্বামীর জন্য নতুন মোটরসাইকেলও দাবি করেন শ্বশুর-শাশুড়ি।
দীপ্তির অভিযোগ, এসব দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে জানা যায়, তার স্বামীর একটি কিডনি কাজ করছে না। এ অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন দীপ্তির কাছ থেকে স্বামীর জন্য একটি কিডনি দাবি করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে দীপ্তির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন শ্বশুর-শাশুড়ি। বিয়ের দুই বছর পর দীপ্তি জানতে পারেন, তার স্বামীর একটি কিডনি অকেজো। তখন থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে কিডনি দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করেন।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দুই পক্ষকেই থানায় ডেকে পাঠায় এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দীপ্তি বিবাহবিচ্ছেদ চান, তবে তার স্বামী এতে রাজি হননি।
এই অবস্থায় দীপ্তি তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সূত্র : আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/আশিক