দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে পুকুর থেকে সাধন চন্দ্র রায় নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধারের পাঁচ দিনের মধ্যে ঘটনার রহস্য ও মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ১০ হাজার টাকার জন্য সাধন চন্দ্র রায়কে হত্যা করে লাশ ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পুকুরে ফেলে দেয় তারই বন্ধু মনদীপ রায় (২০)।
শনিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান দিনাজপুর পুলিশ সুপার মারুফাত হোসেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় অভিযুক্ত মনদীপ রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার মনদীপ রায় একই গ্রামের তপন কুমার রায়ের ছেলে। আর নিহত সাধন চন্দ্র রায় রনটি গ্রামের মিনাল চন্দ্র রায়ের ছেলে। তিনি স্থানীয় বাজারে ওষুধের দোকানে কাজ করতেন। নিহত সাধন চন্দ্র রায় ও আটক মনদীপ রায় দুইজনই বন্ধু ছিলেন।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৩ মে অভিযুক্ত মনদীপ ভুক্তভোগী সাধনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নেন। কথা ছিল ৩ জুনের মধ্যে তা পরিশোধ করবেন এবং সঙ্গে অতিরিক্ত এক হাজার টাকা দেবেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়েও টাকা ফেরত না দেওয়ায় পরিবারের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর সাধনের মা মনদীপের মাকে বিষয়টি জানালে তিনি ছেলেকে বকাঝকা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মনদীপ ২৩ জুন রাতে সাধনকে ডেকে নিয়ে যান ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাড়ির পুকুরপাড়ে। সেখানে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। পরে লাশ ও মোটরসাইকেলটি পুকুরে ফেলে দেন। বুধবার পুকুরটিতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ও সিআইডির একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
প্রেস ব্রিফিং এর সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সিফাত-ই-রাব্বানী, কাহারোল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ও বোচাগঞ্জ থানার ওসি হাসান জাহিদ সরকার উপস্থিত ছিলেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল