শিম্পাঞ্জিরা কেবল বুদ্ধিমান প্রাণীই নয়, তারা প্রকৃত অর্থেই প্রকৌশলী—এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে, শিম্পাঞ্জিরা যন্ত্রপাতি তৈরিতে এমন উদ্ভিদ বেছে নেয় যেগুলো নমনীয় ও কাঠামোগতভাবে উপযোগী।
তানজানিয়ার গোম্বে স্ট্রিম ন্যাশনাল পার্কে শিম্পাঞ্জিদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট, জেন গুডল ইনস্টিটিউটসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা। গবেষণাটি প্রকাশিত হয় আইসায়েন্স (iScience) জার্নালে।
গবেষণায় দেখা যায়, শিম্পাঞ্জিরা টার্মাইট মাছ ধরার জন্য এমন গাছের ডাল ব্যবহার করে, যেগুলো সহজে বাঁকানো যায়। তাদের ব্যবহৃত উদ্ভিদগুলো অন্য গাছের চেয়ে ১৭৫ শতাংশ বেশি নমনীয়। ফলে এগুলো টুল হিসেবে বেশি কার্যকর।
প্রধান গবেষক আলেহান্দ্রা পাসকুয়াল-গারিদো বলেন, এই প্রথম প্রমাণ মিলল যে, বন্য শিম্পাঞ্জিরা যন্ত্র তৈরিতে যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় নেয়।
তারা ধারণা করছেন, শিম্পাঞ্জিরা ‘লোকজ পদার্থবিদ্যা’ অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে উপাদানের গুণাগুণ বুঝতে পারে। এই দক্ষতা হয়তো শেখা, অনুকরণ ও সামাজিকভাবে অর্জিত।
এই গবেষণা মানবজাতির টুল ব্যবহারের ইতিহাস বোঝার ক্ষেত্রেও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল