জেলার পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর থেকে চারঘাট-বাঘা-নাটোরের লালপুর হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার সড়কের কাজ চলছে। ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পে ১৮ ফুট থেকে সড়কটি ৩৪ ফুট চওড়া করা হচ্ছে। বাজার এলাকায় ঢালাই সড়ক ও পানি নিষ্কাশনের নালা থাকছে। এ প্রশস্তকরণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু কাজ শেষ করা যায়নি। পরে এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর করা হয়। পরে গত বছরের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সাতজন ঠিকাদার সাতটি প্যাকেজে কাজটি করেছেন। তার পরও কাজ শেষ হয়নি। তৃতীয় দফায় আবারও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, চারঘাট ও বাঘা বাজারে ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা দেখা দেওয়ায় কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় বাসিন্দা ও ভূমিমালিকদের অভিযোগ, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বৈষম্য হয়েছে। বাজারমূল্য অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হয়নি। কিছু অংশে সড়কের দুই পাশে অধিগ্রহণের কথা থাকলেও করা হচ্ছে এক পাশে। চারঘাট বাজার এলাকার শামসুল হকের ভাষ্য, বাঘার চেয়ে চারঘাট রাজশাহী শহরের কাছাকাছি এবং বাজারের পাশে পুলিশ একাডেমি ও ক্যাডেট কলেজের মতো প্রতিষ্ঠান আছে। ধানি জমি ও মৌজা রেটের যে কারণ দেখানো হচ্ছে, তা যুক্তিযুক্ত না। এমন অভিযোগ আরও কয়েকজন মালিকের। বাঘা বাজারের আবদুস সাত্তার জানান, জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু টাকা তিনি এখনো পাননি। তাঁর নামে চেক বরাদ্দ হয়েছে বলে শুনেছেন। সড়ক ও জনপথের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে না। বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি জানান, জেলা প্রশাসন কাজটি করে থাকে।
তাঁরা জেলা প্রশাসনের কাছে অর্থ হস্তান্তর করেছেন। এখন কারা টাকা পেয়েছেন বা পাননি, তা জেলা প্রশাসনের দেখার কথা।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়। এ বছরের ২০ মার্চ সওজ তাঁদের সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে সড়কের পাশের স্থাপনা সরিয়ে ফেলা, এক পাশে চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করে ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। বর্ষা মৌসুম চলতে থাকায় কাজও ঠিকভাবে করা যাবে না। ফলে তাঁরা সময় বাড়াতে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন।