বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষই আমার। কারণ ১৮ কোটি মানুষকে যদি আমি যথাযথভাবে সম্মান ও ভালোবাসা দিতে পারি, তাহলে তাদের সহযোগিতা পাওয়া যাবে নিশ্চিত। তবে আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কেউ কোনোকিছু করতে পারবেন না। সমাজে নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এমন একটা দেশ গড়তে চাই; যে দেশে মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণাগুণের ভিত্তিতে; যে মানুষটির কোয়ালিটি দেখে সমাজ তাকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে বাধ্য হবে।
মঙ্গলবার দিনব্যাপী মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জামায়াতের কেন্দ্রীয় গণসংযোগের অংশ হিসেবে দাওয়াতি সভা ও অমুসলিমদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্বের অন্য দেশের উদাহরণ টানতে গিয়ে জামায়াত আমির বলেন, কারো শিক্ষাজীবন চলাকালে কাজের প্রতিষ্ঠান আগেভাগে চাকরি করার নিয়োগ লেটার পাঠিয়ে দিয়ে বলে যে, আমার প্রতিষ্ঠান চাকরি দেবে যদি আপনি কাজ করতে চান— বাংলাদেশে এ রকম কোনো নিয়ম শোনা যায়নি। তার কারণ এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার ওপর কারো বিশ্বাস নেই। এমনকি সার্টিফিকেটের সঙ্গে শিক্ষার কোনো মিল নেই।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে শুধু তার সিভিটা জমা নেবে। সিভি ঠিক থাকলে তার আর চাকরি আটকাবে না। কাজেই জামায়াতে ইসলামী চায় মানুষ হিসেবে মানুষকে সম্মান দেওয়ার শিক্ষা, ভালোবাসার শিক্ষা এবং শিক্ষা সমাপ্তের পর তাদের হাতে কাজ তুলে দেওয়া। এই কাজটি আমরা করে যেতে চাই।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কুলাউড়া থানায় ৬-৭ লাখ মানুষের জন্য যদি ১০০ জন পুলিশ থাকে। তাহলে এতসব মানুষের জন্য ১০০ পুলিশ দিয়ে পাহারা দেওয়া কোনোভাবে সম্ভব নয়। তবে এর মধ্যে যদি একজন জাগ্রত পুলিশ থাকেন, তাহলে অন্যদের আর কষ্ট করতে হবে না।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সিলেট জেলার আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, মহানগরের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলার আমির ইঞ্জিনিয়ার সায়েদ আলী ও সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী।
এ সময় জেলার নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছার, উপজেলার আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিম, নায়েবে আমির মো. জাকির হোসেন, সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা আমির খন্দকার আব্দুছ ছোবহান, নজরুল ইসলাম সুয়েব ও প্রভাষক হামিদ খান, জামায়াত নেতা রাজানুর রহিম ইফতেখার, পৌর সভাপতি রুহুল আমিন রইয়ুব ও সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমদ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, দুপুরে জামায়াত আমির কুলাউড়া পৌরসভায় পৌঁছালে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন তাকে স্বাগত জানান। সে সময় জামায়াত আমির চা চক্রে অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ