জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত, বিদ্যমান সংকুচিত গণতন্ত্রের পরিবর্তে বিকাশমান সমাজশক্তির অংশীদারিত্বভিত্তিক গণতন্ত্র। এই রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সমস্ত জনগণের স্বার্থরক্ষাকারী নতুন এক রাষ্ট্রশক্তির উদ্ভব ঘটবে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান দমনমূলক ও অগতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিপরীতে এটা হবে মূলত জনগণের প্রকৃত ক্ষমতায়নের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। বিকাশমান রাজনৈতিকশক্তির রাজনৈতিকভূমিকা শাসনতান্ত্রিকভাবে প্রবর্তিত হলে, একনায়কত্ব, ফ্যাসিবাদী বা স্বৈরাচারী শক্তিগুলির রাজনৈতিক কার্যকলাপ চূর্ণ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে, প্রচলিত রাজনীতি সৃষ্টিশীল জাগরণের মুখে চ্যালেঞ্জে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, এই অংশীদারিত্বভিত্তিক রাজনীতির প্রবক্তা হলেন সিরাজুল আলম খান। যিনি বহু বছর পূর্বে বিদ্যমান সংবিধানের পরিবর্তে নতুন সংবিধান প্রবর্তনের জন্য শাসনতন্ত্র ও শাসনতান্ত্রিক রূপরেখা হাজির করেন। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ, জাতিরাষ্ট্রের বিকাশ নিশ্চিত করা এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় সিরাজুল আলম খানের রাজনীতি অনিবার্য। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদীব্যবস্থা বিলোপে অংশীদারিত্বের গণতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প রাজনৈতিক মডেল।
আজ স্বাধীনতা আন্দোলন ও সশস্ত্র সংগ্রামের প্রধান সংগঠক সিরাজুল আলম খান’র ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সিরাজুল আলম খান সেন্টার এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আ স ম আবদুর রব এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ডক্টর সলিমুল্লাহ খান, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাজমুল হক প্রধান, রাশেদ খান সাখাওয়াত হোসেন টুটুল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠনে সভাপতিত্ব করেন সিরাজুল আলম খান সেন্টার এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান রায়হানুল ইসলাম। সভাপতির বক্তব্যে (অনলাইনে সংযুক্ত) তিনি বলেন- বিগত দিনে যখন যারা ক্ষমতায় গেছে তখন তারা নিজেরাই স্বাধীনতার কৃতিত্ব দাবি করেছে।
স্বাধীনতার ইতিহাসকে দলীয়করণ করতে দেওয়া হবে না। সিরাজুল আলম খান গবেষণা কেন্দ্রের কাজের মধ্যে বাংলার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা হবে।
অনুষ্ঠানে সিরাজুল আলম খান দাদা ভাইয়ের সহযোদ্ধা, শুভাকাঙ্ক্ষী, রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত