বিশ্বে দিনকে দিন নানান কারণে বাড়ছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকাও বায়ুদূষণের কবলে। বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথমদিকেই রয়েছে রাজধানী ঢাকা। যা নীরব ঘাতক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
গবেষণা বলছে, বায়ুদূষণ শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যে নয়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতার ওপরও সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর প্রভাব মানুষের বিষণ্নতা, উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে।
বায়ু দূষণকারী পদার্থগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক রাসায়নিক সেরোটোনিন ও ডোপামিনকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে মানসিক স্বাস্থ্যে সমস্যা দেখা দেয়।
গবেষণায় পাওয়া গেছে, বায়ু দূষণের উচ্চমাত্রা মানসিক চাপ ও ডিপ্রেশনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। শহরের শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়েই এ ঝুঁকিতে রয়েছে।
দূষিত বায়ুতে থাকা ভারী ধাতু, লেড, মার্কারি মস্তিষ্কের কোষে ক্ষতি করে, ফলে স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ কমে যেতে পারে। গর্ভাবস্থা বা শৈশবকালে বেশি বায়ুদূষণের সংস্পর্শে আসা শিশুদের মধ্যে শেখার আগ্রহে সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে মনোযোগের ঘাটতি, এমনকি অটিজমের ঝুঁকিও বাড়তে দেখা গেছে।
হার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, দূষিত বায়ু মানসিক অবসাদ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। দূষিত বায়ু গ্রহণে মানুষের আলঝেইমার ও পার্কিনসনসহ মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের স্নায়ু কোষগুলো ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী বিয়াল্লিশ লাখ মানুষ অকাল মৃত্যুর কারণ হিসেবে কাজ করেছে বায়ুদূষণ। এর মধ্যে ৮৯ শতাংশ ঘটেছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
সূত্র: হার্ভার্ড, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংক
বিডি-প্রতিদিন/এমই