রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার রাতে প্রশাসন-১ ভবনের ফটোকের সামনে অনশনে বসেন তারা।
অনশনকারীরা হলেন- নাট্যকলা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদেক রহমান ও দ্বিতীয় বর্ষের সাব্বির খান জিয়াম।
তারা বলছেন, সম্প্রতি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অডিও ক্লিপ, স্ক্রিনশট এবং ফরেনসিক রিপোর্টসহ একাধিক অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে। এসব তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যা কেবল বিভাগের নয়, বরং সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। কিন্তু এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত চান তারা।
এর আগে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন রাহাত। তবে তিনি মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) জন্য মনোনীত হননি। ফলে চাকরিতে অর্থনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ তোলেন এবং উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীবের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
এছাড়া অভিযোগের কপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টার কার্যালয়সহ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে ডাকযোগে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে বিভাগের সভাপতি মীর মেহবুব আলমের সঙ্গে তার নিয়োগ-সংক্রান্ত আড়াই মিনিটের একটি ফোনালাপের রেকর্ড সংযুক্ত করা হয়। রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সভাপতি ফোনালাপটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে তৈরি দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ঘটনার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (আরইউটিএএ) সভাপতি হোসাইন মারুফ রেকর্ড ফরেনসিক টেস্টের উদ্যোগ নেন এবং এ আবেদনের প্রেক্ষিতে ১১ অক্টোবর বিআইএফপিএস প্রতিষ্ঠানটি রেকর্ডের ফরেনসিক টেস্ট করে সত্যতা পায়।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল