সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় দেড় লাখ (১ লাখ ৪৫ হাজার ৪১৯) অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরই মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৭ হাজার ৯৭০ জনকে বহিষ্কার করা হয় জুন মাসে। এ সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহ্বানে আরও ৪ হাজার ২৪১ জন স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরেছেন।
ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস অ্যানফোর্সমেন্ট (আইস) ৪ সেপ্টেম্বর এ তথ্য গণমাধ্যমে দিয়েছে। উল্লেখ্য, এটি হচ্ছে প্রথম সরকারি তথ্য, যেখানে দেশওয়ারি বিবরণীও রয়েছে। অভিবাসন দপ্তরের অভিভাবক ‘হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট’র মন্ত্রী ক্রিস্টি নয়েম বারবার দাবি করেছেন, অবৈধভাবে বসবাসরতদের গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের ঘটনা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে। তবে এ দাবির সমর্থনে কোন মাসে কতজনকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে তা কখনো প্রকাশ করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে প্রতি মাসের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে আইসের ওয়েবসাইটে। সে অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে তথা গত বছরের জুলাই মাসে ২৫ হাজার জনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর এ বছরের জুলাইয়ে সে সংখ্যা হচ্ছে ২৩২৫০। তবে বাইডেনের আমলের চেয়ে বর্তমানে অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রচারণা অনেক বেশি এবং এর ফলে গোটা কমিউনিটি সন্ত্রস্ত্র হয়ে উঠেছে, যার প্রভাব পড়ছে ব্যবসাবাণিজ্যে। এ প্রসঙ্গে ‘লিবারটেরিয়ান ক্যাটো ইনস্টিটিউট’র অভিবাসন বিষয়ক পরিচালক ডেভিড বাইয়ার বলেন, ‘আমি বলতে পারি গত বছরের চেয়ে এ বছরের ৮ মাসে বহিষ্কারের সংখ্যা কোনোভাবেই বেশি নয়।’
এমনকি গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকে আত্মগোপনে যাওয়ায় দুর্বৃত্তদের তথ্য জানতে সক্ষম হচ্ছে না টহল পুলিশের দল। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির পরিপূরক হিসেবে নানান অপকর্মে দণ্ডিত অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের সাফল্য দেখা গেছে। এবং এটাই হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য। এভাবেই সামাজিক শান্তি ও স্বস্তি প্রতিষ্ঠার সংকল্পে নিবেদিত রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন-মন্তব্য ক্রিস্টি নয়েমের। গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের প্রচারণা জোরদারের সুফল অবশ্য এসেছে মেক্সিকো হয়ে দক্ষিণের সীমান্ত দিয়ে বেআইনি/চোরাইপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের প্রবণতায়। সে সংখ্যা প্রায়ই শূন্যে নেমে এসেছে।