পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দূত জালমে খলিলজাদ। তার মতে, আসিম মুনিরকে বিশ্বাস করা যায় না।
গত ১৮ জুন হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি সেনাপ্রধান, যিনি রাষ্ট্রপ্রধান নন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমন বৈঠকে অংশ নিলেন। এরপরই সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন খলিলজাদ।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘ডাবল গেম’ খেলেছে বিষয়টি ট্রাম্পকে স্মরণ করিয়ে দেন খলিলজাদ। সাবেক এ মার্কিন দূত বলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহায়তা নিয়েছে, আবার একই সঙ্গে মার্কিন হত্যাকারীদের আশ্রয়ও দিয়েছে। পোস্টে খলিলজাদ আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভালো করেই জানেন- পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ‘ডাবল গেম’ খেলেছে। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা উপস্থিত থাকার সময় পাকিস্তান আমাদের কাছে সহায়তা নিয়েছে।
একই সঙ্গে আমাদের সেনাদের হত্যাকারীদের মদত দিয়েছে। একইভাবে নাইন ইলেভেলেনের পর ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে’ যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দুজনকেই সহায়তা করেছে- আমাদেরও আবার আল-কায়েদার সন্ত্রাসীদেরও। খলিলজাদ প্রশ্ন তুলেছেন, আমরা কোথায় বিন লাদেনকে খুঁজে পেলাম? পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটির একেবারে নাকের ডগায়। কিন্তু পাকিস্তান এখনো ডা. আফ্রিদিকে আটক করে রেখেছে- যিনি বিন লাদেনকে হত্যায় সহযোগিতা করেছিলেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ট্রাম্পের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো এমন একসময়ে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ইরানে হামলা শুরু করেছে এবং জবাবে ইরানও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলায় ইরানে ইতোমধ্যেই ৬০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০০। আসিম মুনীরের সঙ্গে বুধবার হোয়াইট হাউসে লাঞ্চের পর ট্রাম্প বলেন, ‘পাকিস্তানিরা ইরানকে খুব ভালো জানে। সম্ভবত অন্যদের চেয়ে ভালো-যদিও (বর্তমান পরিস্থিতিতে) তারা খুশি নয়’। ট্রাম্প আরও বলেন, গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়াতে আসিম মুনীর যে ভূমিকা রেখেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ। এ সময় ট্রাম্প পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে দেখিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মানুষটিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, কারণ তিনি যুদ্ধ থামাতে ভূমিকা রেখেছেন। একই সঙ্গে (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও ধন্যবাদ দিতে চাই-যিনি কিছুদিন আগে হোয়াইট হাউসে এসেছিলেন’।