তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র ইকরাম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছেই। রবিবার রাতভর বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করা ৯ সাংবাদিককে কর্তৃপক্ষ আটক করেছে। গতকাল তুরস্কের সাংবাদিক ইউনিয়ন এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, সাংবাদিকদের তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
সাংবাদিকদের কেন আটক করা হলো তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে সাংবাদিক ইউনিয়ন বলছে, বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করায় তাদের আটক করা হয়েছে। বাড়তে থাকা বিক্ষোভের মধ্যে একে দমনপীড়ন অ্যাখ্যা দিয়েছে সাংবাদিক ইউনিয়ন। তারা বলছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানুষের সত্য জানার অধিকারের ওপর হামলা হয়েছে। এক্সে এক পোস্টে সাংবাদিক ইউনিয়ন বলেছে, সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে দিয়ে সত্য লুকানো যাবে না। আটক সাংবাদিকদের মধ্যে একজন এজেন্সি ফ্রান্স প্রেসের (এএফপি) আলোকচিত্রীও আছেন বলেও জানিয়েছে তারা। তবে কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক আটক নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। ওদিকে, তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া তুরস্কে গত সপ্তাহে বিক্ষোভের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়াদের সংখ্যা জানিয়ে বলেছে, মোট ১ হাজার ১৩৩ জন আটক হয়েছে। এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি বলেন, রাস্তাঘাটে ত্রাস, জাতির শান্তি ও নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করাটা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। ইস্তাম্বুলের মেয়র ইকরাম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের পর রবিবার রাতে তুরস্কজুড়ে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতা দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর ছোড়া হয়েছে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট। ইমামোগলু তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। ‘কখনোই মাথা নত করব না, ’ রিমান্ডে নেওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এমনটাই বলেছেন তিনি। এরদোগান বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে সিএইচপির বিরুদ্ধে শান্তি বিঘ্ন ও জনগণকে বিভক্ত করার অভিযোগ এনেছেন। ইমামোগলুকে আটক করার পর রবিবার নিয়ে টানা পাঁচ রাত বিক্ষোভ দেখেছে তুরস্ক। দেশটিতে যে বিক্ষোভ চলছে, তাকে ২০১৩ সালের গাজি বিক্ষোভের পর সবচেয়ে বড় বলা হচ্ছে। এক যুগ আগে স্থানীয় একটি পার্ক গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ওই বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। রবিবার পর্যন্ত তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের অন্তত ৫৫টিতে ইমামোগলুর পক্ষে সমাবেশ হয়েছে বলে প্যারিসভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে। -রয়টার্স