পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় মূলত ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকারমুখী ভারতের উড়োজাহাজগুলকে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। এতে জ্বালানির খরচ যেমন বাড়ছে, তেমনই সময় বেশি লাগছে।
গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের পর থেকে দুই দেশের আকাশসীমা পরস্পরের জন্য বন্ধ। এতে বিপাকে পড়েছে ভারতের বিমান সংস্থাগুলো। ইউরোপ বা আমেরিকার বিমান অনেকটা ঘুরপথে যাচ্ছে। খরচ হচ্ছে বেশি। বুধবার এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন জানালেন, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় গত পাঁচ মাসে তার সংস্থার চার হাজার কোটি রুপি ক্ষতি হয়েছে। আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে সংস্থাটি।
বুধবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন উইলসন। সেখানেই সংস্থার আর্থিক ক্ষতির কথা বলেছেন। পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় মূলত ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দিকের বিমানগুলিকে ঘুরপথে পাঠাতে হচ্ছে। এতে জ্বালানির খরচ যেমন বাড়ছে, তেমনই সময় বেশি লাগছে। ফলে বিমানকর্মীদের বেতন বাবদ খরচ আগের চেয়ে বেশি হচ্ছে। ক্যাম্পবেলের কথায়, আকাশসীমা বন্ধ থাকায় চার হাজার কোটি টাকার প্রভাব পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার উপর। প্রতিটি বিমানে আগের চেয়ে ৬০ থেকে ৯০ মিনিট বেশি লাগছে বলে দাবি সংস্থার।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পরেই পাকিস্তান এবং ভারত পরস্পরের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল। বাণিজ্যিক বিমানের পাশাপাশি এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও। ফলে কোনও বিমানই আগের যাত্রাপথ অনুসরণ করতে পারছে না।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল