নেপালে জেন-জির বিক্ষোভের সময় লুট হওয়া যেকোনও জিনিস কেনাবেচা না করার জন্য সতর্কতা জারি করেছে দেশটির পুলিশের সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (সিআইবি)।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সরকারি অফিস, বেসরকারি ভবন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক সংস্থা থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র যেমন- সরকারি নথিপত্র, ঐতিহাসিক রেকর্ড, অস্ত্র, নগদ টাকা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়েছে এবং এদের কিছু কিছু বাজারে বিক্রি হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো অনুরোধ করেছে, যদি কেউ এসব লুট হওয়া সামগ্রী বা তাদের মধ্যে কোনও জিনিসপত্রের মালিকানাধীন হয়, তবে তা অবিলম্বে কাছের নিরাপত্তা সংস্থাকে জানাতে বা জমা দিতে হবে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে যে, লুট করা সম্পত্তি কেনা, বিক্রি বা সংরক্ষণ করলে তা বর্তমান আইনের আওতায় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
এর আগে দেশটির কয়েকজন বিশেষজ্ঞ জানান, যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রতিবাদ বা প্রাকৃতিক মহাদুর্যোগ ঘটে, তখন মানুষের তথ্যের চাহিদা ও আশঙ্কার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভুল তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এটি পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তোলে।
‘ইনফোডেমিক’ (তথ্য সংক্রমণ) শব্দটি কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে প্রথম পরিচিতি পায়, কিন্তু এই একই ধরনের সমস্যা গত সপ্তাহে নেপালে ঘটে। গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে সন্ত্রাসী হামলা, প্রাণহানির ঘটনা, আহতদের সংখ্যা এবং ব্যাপক ভাঙচুরের মধ্যে গুজব, বিকৃত তথ্য এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য/মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে সিএমআর নেপাল জার্নালিজম অ্যাকাডেমির পরিচালক এবং নেপালফ্যাক্টচেক.ওআরজি-এর প্রকল্প প্রধান উজ্জ্বল আচার্য বলেন, গত সপ্তাহ ছিল ভুল তথ্যের জন্য অতি উর্বর সময়, যেখানে মিথ্যাচার, অপপ্রচার এবং ঘৃণা ও বিদ্ধেষপূর্ণ বক্তব্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। সূত্র: দ্য হিমালয়ান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/একেএ