আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রথমবার ক্ষমতায় থাকাকালীনই তিনি বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে তিনি সেই পরিকল্পনাই কার্যকর করছেন বলে জানান।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, অনেক আগেই আমাদের পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করা উচিত ছিল। আমি প্রথম দফায় চীনের উপর বাড়তি শুল্ক দিয়েছিলাম। বাকিটা করতে পারিনি কোভিডের কারণে।
ট্রাম্প ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন এবং ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হয়। তার মেয়াদের শেষের দিকে ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি ব্যাপক আকার ধারণ করে। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন- আমেরিকার সঙ্গে যেসব দেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে তাদের পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত এবং অন্যান্য দেশের পণ্যের উপর ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হবে।
এরপর গত ২ এপ্রিল ওয়াশিংটন থেকে বিভিন্ন দেশের জন্য নির্ধারিত শুল্কের তালিকা প্রকাশ করা হয় যা জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয় যেন সংশ্লিষ্ট দেশগুলো আলোচনা করে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে। নির্ধারিত সময় শেষে নতুন করে শুল্ক কার্যকর করা হয় যার মধ্যে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যদিও ট্রাম্প জানান, আলোচনার দরজা এখনো খোলা।
ট্রাম্পের দাবি, এই শুল্ক নীতির মাধ্যমে আমেরিকায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আসবে, যা জাতীয় ঋণ পরিশোধে ব্যবহৃত হবে। তার ভাষায়, "আমরা প্রচুর অর্থ পেতে যাচ্ছি। দেশ এর আগে এত অর্থ চোখেও দেখেনি।
দ্বিতীয় মেয়াদে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণেও ট্রাম্প এই নীতির পক্ষে বক্তব্য রাখেন। ভাষণে উঠে আসে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ বিষয়, বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা এবং আন্তর্জাতিক নানা ইস্যু, যার মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধও অন্যতম।
তথ্য সূত্র- আনন্দবাজার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ