ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি শনিবার সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলের চলমান হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো ধরনের জড়িত থাকার ফল খুব বিপজ্জনক হবে।
এই হুঁশিয়ারি এমন এক সময়ে এলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি কূটনৈতিক চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য দুই সপ্তাহের সময়সীমা দিয়েছেন। অন্যথায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন সামরিক হামলার ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী শনিবার জানিয়েছে, তারা রাতে একটি ইরানি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে এবংএতে তিন সিনিয়র ইরানি কমান্ডার নিহত হয়েছে।
আরাঘচি ইস্তাম্বুলে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির একটি বৈঠকে বলেন, প্রথম দিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এই আগ্রাসনে জড়িত।
ইসরায়েলি বিমান হামলা ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এবং এর পারমাণবিক কর্মসূচি ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল, যা এখন নয় দিন ধরে চলা একটি পূর্ণাঙ্গ পাল্টাপাল্টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রূপ নিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ওআইসি'র এই জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ট্রাম্প ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছেন, তবে এখনও মার্কিন মিত্রের পক্ষে সামরিক হস্তক্ষেপ করবেন কিনা তা চূড়ান্ত করেননি।
আরাঘচি আরও বলেন, পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য ইরান এখনও প্রস্তুত।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও চলমান সংঘাত নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আঞ্চলিক শান্তির সবচেয়ে বড় বাধা বলে অভিহিত করেছেন। এরদোয়ান ওআইসি সম্মেলনে বলেন, নেতানিয়াহুর জায়নবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষার অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই আমাদের অঞ্চল এবং সমগ্র বিশ্বকে একটি বড় বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া ছাড়া।
সূত্র: পলিটিকো
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল