ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের অষ্টম দিনে গতকাল উভয় দেশ একে-অপরের ওপর আরও হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে পাল্টা হামলায় মধ্য-ইসরায়েলে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটেছে এবং বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আগুন জ্বলতে থাকার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটিগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিপুল সমরসজ্জা মজুত করেই চলেছে। খবরে বলা হয়েছে, তারা একসঙ্গে বহু ঘাঁটি থেকে ইরানের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে। রাশিয়া এ তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেছে, এ তৎপরতা বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আলজাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি, ইরনা, ডেইলি সাবাহ।
খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জড়ানোর ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন’ বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক সামরিক সরঞ্জাম জড়ো করে চলেছে। ধারণা পাওয়া গেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি ইসরায়েলের বিমান হামলায় যুক্ত হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বহু মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে ইরানে হামলা চালানো হবে। আরেক খবরে বলা হয়, মধ্যপ্রাচের ঘাঁটিগুলোতে নতুন করে এফ-১৬, এফ-২২ এবং এফ-৩৫সহ আরও কিছু যুদ্ধবিমান মোতায়েন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ইউরোপে এ সপ্তাহের শুরুতে বহু ট্যাংকার বিমান পাঠানো হয়েছে। ইউএসএস নিমিৎজ বিমানবাহী রণতরি স্ট্রাইক গ্রুপকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে পাঠানো হয়েছে, যা আগে থেকে মোতায়েনকৃত ইউএসএস কার্ল ভিনসনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদোর মতো স্থাপনায় হামলা চালাবে, তবে এ ক্ষেত্রে ইউএস এয়ার ফোর্সের বি-২ স্পিরিট স্টেলথ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হতে পারে। এই বোমারু বিমান তার স্টেলথ বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেই বিশাল ওজনের গোলাবারুদ বহনে সক্ষম, যার মধ্যে দুটি জিবিইউ-৫৭এ/বি এমওপি (ম্যাসিভ অর্ডিন্যান্স পেনিট্রেটর) বা ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের নির্ভুলভাবে পরিচালিত ‘বাংকার বাস্টার বোমা’ বহন করতে পারে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রচলিত বোমা, যা শক্তিশালী ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার ধ্বংসের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। এটি ২০ দশমিক ৫ ফুট লম্বা, জিপিএস-নির্ভর টার্গেটিং-ব্যবস্থার সাহায্যে নির্দিষ্ট ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় নিখুঁত হামলা করতে সক্ষম। শক্ত কংক্রিট ভেদ করে এটি ৬০ মিটার (২০০ ফুট) পর্যন্ত ঢুকে যেতে পারে, যা বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থাপনাগুলো ধ্বংসে কার্যকর। ফোরদো স্থাপনাটি যদি ১০০ মিটার গভীরে হয়ে থাকে, তবে এমন একাধিক বোমা এক জায়গায় বারবার ফেললে তা ধ্বংস হতে পারে। এদিকে স্যাটেলাইট চিত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য-মার্কিন যৌথ সামরিক ঘাঁটি দিয়েগো গার্সিয়ায় বি-৫২ বোমারু বিমানসহ অন্যান্য যুদ্ধবিমান প্রস্তুত অবস্থায় দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমানকেও গতকাল পশ্চিম উপকূল থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হতে দেখা গেছে। বিমানগুলো বিশাল বোমা বহনে সক্ষম, যা দিয়ে ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানা সম্ভব।
রাশিয়ার হুঁশিয়ারি : মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কেননা এ দুটি অঞ্চল এখন মারাত্মক সংঘর্ষের সম্ভাব্য কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।’ তিনি গত শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের (এসপিআইইএফ) মূল অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সংঘর্ষের বিপুল আশঙ্কা লক্ষ করা যাচ্ছে। আমরা বৈশ্বিক যুদ্ধের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। সব সংকটেরই শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত।’ তিনি ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণের সমালোচনা করে বলেন, ‘এই জোট বারবার রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগকে অগ্রাহ্য করছে। এটি পশ্চিমাদের উপনিবেশবাদী নীতির আরেকটি রূপ মাত্র।’ মধ্যপ্রাচ্য প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ‘ইসরায়েল যদি সত্যিই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করার কথা বিবেচনা করে থাকে, তবে আমি আশা করি এটি কেবল কথার কথা হিসেবেই থাকবে।’ এর আগে রুশ প্রেস সচিব দিমিত্রি পেসকভ সেন্ট পিটার্সবার্গের কনস্টান্টিন প্রাসাদে স্কাই নিউজকে বলেন, ‘ইরানে সরকার পরিবর্তনের কথা যারা বলছে, তারা যেন মনে রাখে-এটা শুধু অগ্রহণযোগ্য নয়, বরং এতে দেশটিতে চরমপন্থার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তারা যেন মনে রাখে, তারা এক ভয়ংকর প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেবে।’
ইসরায়েলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত : একটি খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। গতকাল ভোরে চালানো এ হামলায় অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও বেশ কিছু ড্রোন ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এড়িয়ে তেল আবিব শহরের কেন্দ্রস্থলে আঘাত হেনেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ইসরায়েল অধীকৃত অঞ্চলের ভিতরে সামরিক ও সরবরাহ ঘাঁটিগুলোর ওপর ব্যাপক আকারে হামলা চালিয়েছে। হামলার সময় তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে সাইরেন বেজে ওঠে এবং বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকাগুলো।
অন্যদিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলের মাঝামাঝি অঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটেছে। ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, শনিবার ভোরে ইরান কমপক্ষে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে অন্তত একটি মধ্য ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হেনেছে। অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম জানায়, ইসরায়েলের তেল আবিব শহরের আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলি নাগরিকদের আশ্রয়স্থল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ জারির পরপরই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিব জেলা ভবনে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এদিকে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩’-এর ১৮তম অভিযান চালাচ্ছে ইরান। এই আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছে ড্রোন। সূত্র বলেছে, ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে সর্বশেষ ইরানের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে আত্মঘাতী ও যুদ্ধ ড্রোনের পাশাপাশি নির্ভুল স্ট্রাইক মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে। তেল আবিবে হামলা পরিচালনার সময় তারা শাহেদ-১৩৬ যুদ্ধ এবং আত্মঘাতী ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ঝাঁক ব্যবহার করেছে, যা কঠিন ও তরল জ্বালানিতে চালিত হয়। এভাবে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করে ইরানের হাইব্রিড অভিযান নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত থাকবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ও দক্ষিণাঞ্চলে পৃথক হামলা চালিয়েছে, যা অনেকটা অবাক করেছে ইসরায়েলকে। হামলার বিষয়টি স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এটি একটি বিরল ঘটনা, যেখানে ইরানের একমুখী আক্রমণাত্মক ড্রোন সফলভাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। শনিবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে জর্ডান সীমান্তসংলগ্ন বেইত শেইন শহরে একটি ড্রোন আঘাত হানে। এতে একটি দুইতলা বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। জরুরি উদ্ধারকর্মীরা জানান, বিস্ফোরণে বাড়িটির পাশে বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, জানালা ও দরজা উড়ে গেছে। এ ছাড়া খুজেস্তান প্রদেশের আহভাজ শহর এবং মহশাহর বন্দরেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গতকাল সারা দিনে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আটটি হামলা চালিয়েছে। এ সামরিক অভিযানের সপ্তম ও অষ্টম ধাপে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোনগুলোর বেশির ভাগই সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানের সর্বশেষ হামলায় অন্তত ছয়টি ড্রোন ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি ড্রোন আরাভা মরুভূমি, গোলান মালভূমিসহ অন্যান্য অঞ্চলে পৌঁছানোর আগেই ঠেকানো হয়। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ ও অন্যান্য সূত্র জানায়, ইরান থেকে ছোড়া ১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৫টি প্রতিহত করা সম্ভব হলেও বাকি ৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এর মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের দক্ষিণের হেলেন শহরে আঘাত হানে, যেখানে একটি বহুতল ভবনে আগুন ধরে যায় এবং তা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা : এদিকে গতকাল সকালে ইরানের ইসফাহানে অবস্থিত একটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসফাহান গভর্নরের ডেপুটি সিকিউরিটি অফিসার আকবর সালেহি বলেছেন, ইসফাহানের কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, এর মধ্যে একটি পারমাণবিক স্থাপনাও রয়েছে। তিনি বলেন, হামলার পর সেখান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। তবে কোনো ক্ষতিকর পদার্থের গ্যাস বা তরল নির্গমন ঘটেনি। হামলায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে ১৩ জুন সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইরানে অন্তত ৪৩০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ মানুষ। তবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অধিকার সংগঠনের সংবাদমাধ্যম হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট নিউজ এজেন্সির দাবি, নিহতের সংখ্যা ৬৫৭ জন। ইরানি গণমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলি হামলায় আরও একজন পরমাণু বিজ্ঞানী মারা গেছেন। এনিয়ে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি : শুক্রবার ইউরোপীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে গতকাল ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক বিবৃতিতে বলেন, ইরান এখনো ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির (জেসিপিওএ) মতো আলোচনার পথ খোলা রাখতে চায়। তবে এই প্রক্রিয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েল, যারা প্রকাশ্যেই কূটনৈতিক সমাধানের বিরোধিতা করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা কূটনীতিকে শক্তি হিসেবে দেখি, সংকট নয়। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার যে সমঝোতা আমরা ২০১৫ সালে করেছিলাম, সে পথেই আমরা আবারও ফিরে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু ইসরায়েল প্রকাশ্যে কূটনৈতিক সমাধানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা যুদ্ধ চায়, দখল চায়, আক্রমণ চায়-শান্তির কোনো সুযোগকেই তারা মূল্য দিচ্ছে না।’ আরাগচির এই মন্তব্য তুলে ধরে আন্তর্জাতিক মহলে কিছু প্রশ্ন জোরালোভাবে উঠছে। প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিকার অর্থে শান্তি চায় কে, আর সংঘাতকে জিইয়ে রাখতে চায় কে?