ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই আবারও অসামরিক মহড়ার আয়োজন করছে দিল্লি। ‘মক ড্রিল’ হবে গুজরাট, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই চার রাজ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ‘মক ড্রিল’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই চার রাজ্যের সঙ্গেই পাকিস্তানের সীমান্ত রয়েছে।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল, ৭ মে দেশের ২৪৪টি জেলায় অসামরিক মহড়া হবে। যুদ্ধের সময়ে কী কী করণীয়, কী ভাবে আত্মরক্ষা করতে হবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল সেই ‘মক ড্রিল’-এ।
১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের পর সারা দেশ জুড়ে এই ধরনের নাগরিক সুরক্ষার মহড়া আর হয়নি। কিন্তু ৭ তারিখের ‘মক ড্রিল’-এর আগে ৬ মে মধ্যরাতেই পাকিস্তানে হামলার দাবি করে ভারত। শুরু হয় উত্তেজনা।
শুধু যুদ্ধ নয়, নাগরিক সুরক্ষা মহড়া বা ‘মক ড্রিল’ যে কোনও বিপর্যয়ের মোকাবিলার উদ্দেশ্যেই আয়োজন করা যায়। ভূমিকম্প, বন্যা, রাসায়নিক বিপর্যয়, সন্ত্রাসবাদী হামলার ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে, তাদের বিপর্যয়ের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করতে ‘মক ড্রিল’ আয়োজন করা হয়।
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময়ে সীমান্তবর্তী এই চার রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউটের সাক্ষী থেকেছে এই রাজ্যগুলি। নতুন করে আবার এই সমস্ত সীমান্তঘেঁষা রাজ্যে মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। সংঘর্ষবিরতি হলেও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এখনও তেমন উন্নতি হয়নি। তাই অনেকের মতে, সীমান্তের রাজ্যগুলিকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখতেই এই ধরনের মহড়ার আয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল