ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে নিরাপত্তাব্যবস্থা হঠাৎ জোরদার করা হয়েছে। দূতাবাসটি ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ডিএমপির (ঢাকা মহানগর পুলিশ) বিশেষায়িত সোয়াট টিম ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট।
রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত দূতাবাস এলাকায় গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে সিটিটিসি (কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) ইউনিট, পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য এবং গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আলী আহমেদ মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি আমাদের নিয়মিত নিরাপত্তা তদারকি। মাঝে মাঝে মনে হলে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়।’
তবে পুলিশের এক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, মার্কিন দূতাবাসে হামলা পরিকল্পনার বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কিছু তথ্য পেয়েছে। সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তির নাম, পরিচয় ও ছবি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। যাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। সূত্রমতে সন্দেহভাজন ওই তিনজন দূতাবাসে হামলার ছক কষছেন, এমন তথ্য পাওয়ার পর দূতাবাস কর্তৃপক্ষ একটি আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে ডিএমপিকে নিরাপত্তা জোরদারের অনুরোধ জানায়। এর পরই একাধিক বাহিনী নিয়ে মার্কিন দূতাবাস এলাকায় তৎপরতা বাড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার রাত ৯টার পর থেকে বারিধারায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বিশেষ করে দূতাবাসের আশপাশে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও অবস্থান নিয়েছেন। পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ), কূটনৈতিক সুরক্ষা বিভাগ এবং সিটিটিসির কর্মকর্তারা দূতাবাসে গিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন। ডিএমপি সূত্র জানান, এ তিনজন সন্দেহভাজনের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাদের গতিবিধির ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
নিরাপত্তাব্যবস্থার অংশ হিসেবে মার্কিন দূতাবাসের চারপাশে যান চলাচলেও কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সতর্ক অবস্থানে থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।