বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন বলেছেন, সরকার ভোজ্য তেলের দাম বাড়ায়নি। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া দাম বাড়ানোর এখতিয়ার নেই ব্যবসায়ীদের। যদি দামের তারতম্য ঘটে সরকার প্রয়োজনীয় সক্ষমতা ব্যবহার করবে। গতকাল রাজধানীর পূর্বাচলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ফার্নিচার মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানো ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর একটি নির্দিষ্ট ফর্মুলা আছে তবে সেটা বেশ পুরোনো। এজন্য আইসিএমএবি ও আইসিএবিকে একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। একটি সংস্থা রিপোর্ট দিলেও অন্যটির রিপোর্ট আমি এখনো পাইনি। এরই মধ্যে কোনো কোনো তেল কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীন মিডিয়া দাম বৃদ্ধির সংবাদ প্রচার করছে, যা বৈধ নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন তেলের দাম বৃদ্ধির এখতিয়ার রাখে না। আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষণ করে আমরা খুব শিগগিরই এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত জানাব।
এদিকে গত সোমবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া প্রতি লিটার পাম অয়েলের দাম ১৩ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। এ বিষয়ে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ব্যবসায়ীরা এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব দিলেও সরকার তাতে অনুমোদন করেনি। এর আগে গত আগস্টে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে সরকার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ব্যবসায়ীরা ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের মাত্র ১ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। এতে করে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হন এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়নি।