হবিগঞ্জে জামায়াত নেতা মহিবুর রহমান চৌধুরী হত্যা মামলায় আদালত ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রধান আসামি শফিকুল আলম চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড। এছাড়া মামলার তিন আসামির মৃত্যুর কারণে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশারফ ইউসুফ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে বাদীপক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করলে কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গুলজার খান বলেন, আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। তবে সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেছিলাম।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শফিকুল আলম চৌধুরী (আমৃত্যু), শহিদুল আলম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, শেবুল মিয়া, রুবেল মিয়া, শামিম, আবদুল মুকিত, আলমগীর, শামছুল হুদা ছরফুল, মকছুদ ওরফে ছাও মিয়া, তারা মিয়া, রতিশ দাশ, ছায়েদ মিয়া ও নাহিদ মিয়া।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বুলবুল মিয়া ও জুয়েল মিয়াকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মারা যাওয়ায় আকবর হোসেন, আবদুল কাইয়ুম ও শাহজাহানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রায় ঘোষণার পরপরই বাদীপক্ষের কিছু লোকজন অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামিদের দিকে ধাওয়া দেয়ার চেষ্টা করে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহিন) বলেন, রায় ঘোষণার সময় বাদীপক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়লেও আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আদালতপাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৭ জুন রাতে শহরের পুরান মুন্সেফি এলাকায় জামায়াত নেতা মহিবুর রহমান চৌধুরীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তার বড়ভাই মুজিবুর রহমান চৌধুরী মামলা করেন। ২০১৫ সালে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সাজিদুর রহমান ১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক রায় দেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল
