রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পোষ্য কোটা’ ইস্যুতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। এর আগে টানা তিন দিন তারা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরীক্ষা ও জরুরি সেবা ছাড়া অধিকাংশ বিভাগ ও দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
অন্যদিকে কোটা পুনর্বহালের দাবির বিরোধিতা করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, বিষয়টি সমাধানে কাজ চলছে। তবে প্রক্রিয়াটা জটিল। বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সুবিধা আছে, অথচ আমরা বঞ্চিত। এ বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন বলেন, কোটার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে জীবন দিয়েছে আবু সাঈদ, মুগ্ধ, আলী রায়হানসহ শত শত মানুষ। গণ অভ্যুত্থানের পর কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এমন অযৌক্তিক দাবি পূরণ হতে দেওয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, দাবি আদায়ে উভয় পক্ষ অনড়। কোনো আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। কর্মবিরতির জন্য অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক জটিলতা বাড়ছে।