বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আবদুল কদ্দুস এবং অধ্যাপক ডা. সিরাজউদ্দিনকে রাজধানীর নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে দেখতে গিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে হাসপাতালে তিনি এ দুই বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন।
‘বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন দমাতে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন’- এমন একটি দলের বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী? এর জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সবসময়ই মনে করি, যে সমস্ত রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে, যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করবে, যেটা আওয়ামী লীগ করেছে- তাদের প্রতিটি ব্যক্তির শাস্তি হওয়ার প্রয়োজন। বিশেষ করে দলের প্রধান শেখ হাসিনার। তার বিচার কিন্তু শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি, তার সঙ্গে যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে, গণহত্যার সঙ্গে এবং এই ফ্যাসিবাদের আক্রমণের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেরই বিচার হবে। সেই সঙ্গে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকেও আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করা উচিত। তিনি বলেন, আপনারা খুব ভালো করে জানেন, এই আওয়ামী লীগের নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুম খুনের সবচেয়ে বড় ভিকটিম আমাদের দল বিএনপি। আমি নিজেও ১১২টা মামলার আসামি এবং ১৩ বার জেলে যেতে হয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা মনে করেন নির্বাচনের প্রয়োজন নেই, তারা আবারও চিন্তা করবেন নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জন্য। একটা নির্বাচিত সরকার দরকার। যে নির্বাচনে জনগণের সম্পর্ক থাকবে। সে কারণেই আমরা বলেছি, যে সংস্কারগুলো হচ্ছে প্রত্যেকটি সংস্কারের দাবি আমরাই তুলেছি সবার আগে। সংস্কার এবং নির্বাচন এর মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। দুটি একসঙ্গেই চলতে পারে। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, দেশটাকে সবাই মিলে বাঁচাতে হবে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে নির্বাচনের সঠিক ট্র্যাকে ওঠানো। যত দ্রুত সেটা ওঠানো যাবে ততই মঙ্গল।
এরপরে তিনি রাজধানীর আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বরেণ্য লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভিনকে দেখতে যান। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করেন। এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, জাসাস সভাপতি হেলাল খান ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন উপস্থিত ছিলেন।