বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক গঠনমূলক সম্পর্ক চায় বলে আবারও জানিয়েছে ভারত। দুই দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতেই এ সম্পর্কের প্রত্যাশার কথা জানানো হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। গতকাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডন সফরে বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নীরব থাকার অনুরোধ করতে বলেছিলেন, তিনি করেননি। এ প্রশ্নের জবাব দেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। প্রশ্ন করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতে এসে মায়ের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করেন। মুখপাত্র বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। এ সংবাদ নিশ্চিত করছি না আবার প্রত্যাখ্যানও করছি না।’
রবীন্দ্রনাথের কাচারি বাড়িতে একদল দুষ্কৃতকারীর হামলার কঠোর ভাষায় নিন্দা করেন মুখপাত্র। তিনি বলেন, গত ৮ জুন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃকবাড়ির ওপর জঘন্য আক্রমণ ও ভাঙচুর করায় আমরা কঠোর ভাষায় নিন্দা করছি। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে অবস্থিত এ ভবনটি ঐতিহাসিকভাবে রবীন্দ্র কাচারি বাড়ি নামে পরিচিত। এটাকে নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা না বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে সহিষ্ণুতার প্রতীক, সমন্বয়কারী বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ওপর চরমপন্থিরা লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে। রবীন্দ্র ভবনের ওপর আক্রমণ সেই পরিকল্পনার অন্তর্গত। তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আগ্রহ করছি তারা যেন চরমপন্থিদের লাগাম টানেন এবং হামলাকারীদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নেন। যাতে এ ধরনের ঘটনা বারবার না ঘটে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে।