সংসদ নির্বাচন

সময়ক্ষেপণ নয়, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন

প্রিন্ট ভার্সন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে জট খুলছে না। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার জাপান সফরকালে সে দেশের নেতাদের জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। একই দিন নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশে লন্ডন থেকে দেওয়া ভার্চুয়াল বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা চলছে- মনে হয় সরকারের অন্য উদ্দেশ্য আছে। আদালত নিয়ে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব আছে, এমন অভিযোগও করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। জুলাই গণ অভ্যুত্থানের পর সরকার গঠনের আগে বলা হয়েছিল, দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন হবে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেও বারবার বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁরা বদ্ধপরিকর। বুধবার জাপান সফরকালে সে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের প্রেসিডেন্ট তারো আসোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। জুলাই গণ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল গণতন্ত্রহীনতার লজ্জা থেকে জাতিকে বাঁচাতে। গণ অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। সংসদ ভেঙে দেওয়ায় সাংবিধানিক শূন্যতা দেখা দেয়। এ প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করবে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন হবে। কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বর এবং বেশি সংস্কার চাইলে নির্বাচন হবে জুনে। সংস্কারের সে পূর্বশর্ত পূরণে সরকার কতটা অগ্রসর হয়েছে, তা এখনো প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। সরকারের নির্বাচনসংক্রান্ত সদিচ্ছা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সব পক্ষের অংশগ্রহণ-সংবলিত সংসদ নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, এমনটিই প্রত্যাশিত।