রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চার দিনব্যাপী শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিক, সুতা ও আনুষঙ্গিক পণ্য নিয়ে ১১তম ইয়ার্ন, ফেব্রিক ও অ্যাক্সেসরিজ প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীতে একই ছাদের নিচে ১০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার আইসিসিবির ২ নম্বর হল পুষ্পগুচ্ছতে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. শাহরিয়ার, বিজিবিএর সহ-সভাপতি মোরশেদ আলম ও বিজিএমইএর পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে কোনোরকম পরিবেশ-পরিস্থিতি আমাদের নেই। আমরা আত্মহত্যা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর পরের কোনো রোডম্যাপ নেই। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়েও রোডম্যাপ নেই। সরকার ব্যবসায়ীদের সাথে বসেনি। এখান থেকে ফেরত আসার সুযোগ ছিল এ সরকারের। আগের সরকার ভুল তথ্যের ওপর এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করেছে।
অ্যাক্সেসরিজ প্রদর্শনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের মেলার সুফল রয়েছে... এক ছাতার নিচে সব পাওয়া যায়। আমি নিজেও লাভবান হয়েছি। আগে ১০ সেইন্ট দিয়ে আমি ফিতা কিনতাম। মেলায় এসে দেখি আরও কমে পাওয়া যায়। পরে মেলা থেকে কিনে আমার দেড় লাখ ডলার খরচ সাশ্রয় হয়েছে।
বিজিএমইএ পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কাস্টমস, বন্ড, বায়ার, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসা টিকবে না। সরকারের সহযোগিতা না পেলে কোনো কিছু সম্ভব না। সরকারের বাধা থাকলে কোনোভাবে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না।
বিজিএপিএমইএ সভাপতি মো. শাহরিয়ার বলেন, আগে আমেরিকার শুল্ক সমস্যা ছিল। বর্তমানে সমস্যা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হয়ে গেলে শিল্প সমস্যায় পড়বে। কারণ ক্লাস ১০ এর ছাত্র মাস্টার্সের পরীক্ষায় কীভাবে পাস করবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন শিল্পের জন্য আতঙ্ক। এটি গ্র্যাজুয়েশন ট্র্যারিফ থেকেও আমাদের জন্য বড় আতঙ্ক।
আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনীতে বিভিন্ন ধরনের সুতা, রঙিন সুতা, বোনা পোশাক তৈরির জন্য মিশ্র সুতা, বোনা ওভেন ফ্যাশন ফেব্রিক, প্লাশ ফেব্রিক, টিআর স্যুট ফেব্রিক, উলের স্যুট ফেব্রিক, ফ্যাশন প্রিন্টেড ফেব্রিক, বোনা স্পোর্টস ফাংশনাল ফেব্রিক, হোম ফেব্রিক, খেলনা ফেব্রিক এবং পোস্ট প্রসেস হট স্ট্যাম্পিং, সূচিকর্ম, কম্পোজিট, ফিল্ম, ফ্লকিংসহ পোশাক শিল্প খাতের আনুষঙ্গিক প্রদর্শন করা হচ্ছে।
চার দিনের এই প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে এবং শুধুমাত্র ব্যবসায়িক দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ