বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কিছু হলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বিএনপি বিএনপি বলে অভিযোগ তুলছে। কিন্তু বিএনপি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটি কেউ ফলাও করে প্রচার করছে না।
রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ : নাগরিক ও জাতিবাদী জাতীয়তাবাদের সংকট’ শীর্ষক এক বইয়ের আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৫ আগস্টের পর বিভাজনের অনেক সুর শোনা যাচ্ছে। অমুক খারাপ, আমরা ভালো। বালুমহালের সঙ্গে বিএনপি জড়িত থাকলে অন্য দলের লোকজনও সেটির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। সেটিও গণমাধ্যমে আসছে। কিন্তু সেটা বেশি করে ফলাও করে প্রচার হচ্ছে না। ’
সিলেটের পাথর লুটের সঙ্গে অন্য দলগুলোর নাম পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নারীঘটিত ঘটনার ব্যাপারেও অনেকের নাম আসছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই বিএনপি বিএনপি করছে। তবে বিএনপি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটি ফলাও করে বলছে না।
রিজভী বলেন, একটা পরিবারের মধ্যে দুষ্টু ছেলে থাকতে পারে। সেই দুষ্টু ছেলেকে বাবা-মা শাসন করছে কিনা সেটি দেখতে হবে। একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির পেছনে লেগেছে। খুব কায়দা করে নানাভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে বয়ান তৈরি করা হচ্ছে।
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, যিনি ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত, তাকে কি ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোকানগুলোতে জরিমানা আদায়ের অধিকার কি তার রয়েছে? এরপরও কিন্তু তিনি জরিমানা আদায় করেছেন। সেই টাকা অন্য কোথাও যাচ্ছে। এটার কী কোনো আইনগত ভিত্তি রয়েছে?
রিজভী বলেন, বরাবরই আমরা দেখছি এদের কর্মকাণ্ড হচ্ছে রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি রাষ্ট্র করা। আবার হলগুলোতে লোহার খাট দিয়েছে। এটা কি রাজনৈতিক কোনো সংগঠন কিংবা ডাকসুর দায়িত্ব? সর্বোচ্চ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় এতিমখানা নয় যে এখানে ১০০ লোহার খাট দেবেন, খাবারের ডাইনিং টেবিল দেবেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ