ফ্রান্সে টানা দ্বিতীয়বার বড় চুরির ঘটনা ঘটল। প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে দুঃসাহসী চুরির পর এবার লিওঁ শহরের এক সোনার কারখানায় ঘটে গেছে ভয়াবহ চুরি। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে, তাঁদের একজন নারী।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাতে চোরচক্রটি বিস্ফোরক ব্যবহার করে ‘পুরকুয়ের ল্যাবরেটরিজ’ নামের ওই মূল্যবান ধাতুর কারখানায় প্রবেশ করে। সেখানে তারা প্রায় ১২ মিলিয়ন ইউরো, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১৭ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সোনা ও ধাতব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুইজন ব্যক্তি একটি সাদা ভ্যানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। একজন কারখানার দেয়ালে মই লাগিয়ে ওপরে উঠছেন, আরেকজন অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থেকে ব্যাগগুলো গাড়িতে তুলছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা এএফপি-কে বলেন, “বিস্ফোরণের শব্দ এত জোরে ছিল যে মনে হচ্ছিল আশপাশের বাড়িগুলো কেঁপে উঠেছে।”
পুলিশ জানায়, চুরি হওয়া পণ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অ্যাসাল্ট রাইফেল ও বিস্ফোরক সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় কারখানার পাঁচ কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন।
ফ্রান্সে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এই ঘটনার পর, কারণ এর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে ঘটেছিল ইতিহাসের অন্যতম বড় চুরি। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৯ অক্টোবর চারজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি যান্ত্রিক লিফট ব্যবহার করে মিউজিয়ামের ‘গ্যালারি অব অ্যাপোলো’তে প্রবেশ করেন এবং ডিস্ক কাটার দিয়ে রাজকীয় অলঙ্কার রাখা ডিসপ্লে কেসগুলো ভেঙে প্রায় ৮৮ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৮৫৭ কোটি টাকা) মূল্যের রত্ন নিয়ে পালিয়ে যান।
সাম্প্রতিক এই দুই বড় চুরির ঘটনায় ফরাসি কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন—দুটি ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি না।
সূত্র: বিবিসি, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/আশিক