সুন্দরবনে অবৈধ শুঁটকি পাচারকারীদের হামলায় চার বনরক্ষী আহত হয়েছেন। হামলার সময় জেলেরা বনরক্ষীদের ব্যবহৃত একটি টহল বোট ছিনিয়ে নেয়। রবিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের হরিণটানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—হরিণটানা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল মণ্ডল (৩১), বনরক্ষী আরমান দারিয়া (২৫), আবুল হাসান (২৭) ও আব্দুল গফুর (৪৭)। এদের মধ্যে তিনজনকে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত সুবল মণ্ডলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় শরণখোলা থানায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে বন বিভাগ একটি মামলা দায়ের করেছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষিত এই বনে শুঁটকি তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও একটি জেলে দল গোপনে শুঁটকি তৈরি করে ট্রলারে করে পাচার করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিণটানা টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা অভিযান চালিয়ে শুঁটকি বোঝাই একটি ফিশিং ট্রলার আটক করে। এ সময় ট্রলারে থাকা ১০ থেকে ১২ জন জেলে বনরক্ষীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়, তাদের মারধর করে নদীতে ফেলে দেয় এবং বনরক্ষীদের ব্যবহৃত একটি টহল বোট ছিনিয়ে নেয়।
চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দীপন চন্দ্র দাস জানান, ধানসাগর স্টেশনের কলামুলা খালে টহল দেয়ার সময় বনরক্ষীরা শুঁটকি বোঝাই একটি ট্রলার আটক করে। এ সময় ট্রলারে থাকা পাচারকারী দলের ১০ থেতে ১২ জন দুর্বৃত্ত জোটবদ্ধ হয়ে বনরক্ষীদের বেদম পিটিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। বনরক্ষীরা নদীতে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা বনরক্ষীদের টহল বোটসহ শুঁটকি ভর্তি ট্রলারটিও ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) হান্নান আলী বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ